শেষ আপডেট: 13th June 2024 18:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগের মধ্যেই এবার ঘরছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি। হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় দু'শো জনকে নিয়ে এদিন রাজভবনে পৌঁছেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এখনও রাজভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেননি তাঁরা।
বিজেপির জমায়েত ঘিরে রাজভবন চত্বরে যাতে নতুন করে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, সেজন্য আগে থেকেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে পুলিশ। ফলে রাজভবনের তিনদিকের গেটই কার্যত অবরুদ্ধ।
রাজভবনের সামনে পুলিশের ব্য়ারিকেড।
এই অবস্থায় ঘরছাড়ারা কীভাবে রাজভবনে প্রবেশ করবেন তা নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। অন্যদিকে পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে, রাজভবন চত্বরে বরাবরই ১৪৪ ধারা জারি থাকে। ফলে এটা নতুন কোনও বিষয় নয়।
বিজেপির তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, এ ব্য়াপারে আগে থেকেই রাজ্যপালের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। ঘরছাড়াদের পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে অপেক্ষা করছেন বিরোধী দলনেতাও। ইতিমধ্যে টেলিফোনে শুভেন্দু রাজ্যপালের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, পুলিশ রাজভবনে ঢুকতে না দিলে সেক্ষেত্রে বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে।
অন্যদিকে এ ব্যাপারে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "বাংলায় বিজেপির প্রকৃত ঘরছাড়া তো দিলীপ ঘোষ। তাঁকে নিয়ে গেলেন না কেন! আর কার কাছে যাচ্ছে? রাজ্যপাল! যার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ উঠেছিল, সেটা তো বাংলার মানুষ ভুলে যায়নি।" একই সঙ্গে কুণাল আরও বলেন, "বাংলায় ভরাডুবির পর নজর ঘোরাতেই কিছু লোককে খাইয়ে দাইয়ে রেখে ঘরছাড়ার নাটক করছেন।"
হিংসা ঠেকাতে এবারের লোকসভা ভোটে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ঠেকাতে উপদ্রুত এলাকায় আরও ১৫ দিন বাহিনী রাখার কথা আগেই জানিয়েছিল কমিশন। বাহিনী চলে যাওয়ার পর হিংসার ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দুরা। সেক্ষেত্রে বাহিনীকে আরও কিছুদিন রাখার জন্য রাজ্যপালের কাছেও আবেদন জানাতে পারেন তাঁরা।
বস্তুত, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় হাইকোর্টেও দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। ১৮ জুন পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।