দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে বৃদ্ধির পথে দাপটের সঙ্গে ফিরল বন্ধন ব্যাঙ্ক (Bandhan Bank)!

চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৮৮৬.৫ কোটি টাকা মুনাফা (Net Profit- Profit After Tax) করল এই বেসরকারি ব্যাঙ্ক। হিসাব অনুযায়ী গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের (২০২২-২৩) প্রথম তিন মাসে বন্ধনের মুনাফায় ১৩৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় গত বছর প্রথম তিন মাসে বন্ধন মুনাফা করতে পারেনি। ওই তিন মাসে নিট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩৭৩.১। সেই নেতি কাটিয়ে এবারের বৃদ্ধি চোখে পড়ার মতোই।

এ বছর এপ্রিল থেকে জুন মাসে বন্ধন ব্যাঙ্কের সুদ বাবদ আয় (Net Interest Income) ১৮.৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫১৪.৪ কোটি টাকা। গত আর্থিক বছরে এই খাতে আয় হয়েছিল ২২১৪ কোটি টাকা।

বন্ধন যে ঋণ দিয়েছে তার পরিমাণও (Total Advance) ২০.৩ শতাংশ বেড়েছে। গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষে তা ছিল ৮০,৩৫৭ কোটি টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ৯৬,৬৪৯.৭ কোটি টাকা।

তা ছাড়া অনাদায়ী ঋণের (NPA) পরিমাণের ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়েছে এ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে। গত আর্থিক বছরের শেষে তা ছিল ৮.১৮ শতাংশ। এখন তা কমে হয়েছে ৭.২৫ শতাংশ।

বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট আমানতের (Total Deposits) পরিমাণেও ভাল বৃদ্ধি হয়েছে চলতি আর্থিক বছরে। হিসাব মতো গত আর্থিক বছরের এপ্রিল-জুন কোয়ার্টারের তুলনায় ২০.২ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে মোট আমানতে। গত বছর জুনের ৩০ তারিখ তা ছিল ৭৭,৩৩৬ কোটি টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ৯৩০৫৭ কোটি টাকা।

এ ছাড়া কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ও সেভিংস অ্যাকাউন্টের অনুপাতেও গত বছর প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে এ বছর। কাসা-র (CASA) বৃদ্ধি হয়েছে ২১.১ শতাংশ। কারা অনুপাত গত বছরের এপ্রিল-জুনে ছিল ৪২.৯ শতাংশ। এ বছর প্রথম ত্রৈমাসিকে তা হয়েছে ৪৩.২ শতাংশ।

বন্ধনের এই আর্থিক ফলাফলের বিষয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “চলতি আর্থিক বছরে ব্যাঙ্কের ব্যালেন্স শিট আরও সমৃদ্ধ করার দিকেই ফোকাস করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কের আরও ভৌগোলিক সম্প্রসারণের লক্ষ্য রয়েছে আমাদের।”

হঠাৎ কেন সোনা আমদানি তিন গুণ বেড়ে গেল জুন মাসে! দামে কেন ছ্যাঁকা লাগছে এখন!