শেষ আপডেট: 16th November 2023 19:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলিশের মারে নয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই বুধবার সন্ধেয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় মৃত্যু হয়েছে কলুটোলা লেনের বাসিন্দা অশোক কুমার সাউয়ের। বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অশোকের ব্রেন টিউমার ছিল! মস্তিস্কে অ্যানিরিজুম তৈরি হয়ে হঠাৎ ফেটে গিয়েই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অসুস্থ ব্যক্তি ম্যালিগন্যান্সি রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলেও রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
যার অর্থ পুলিশের মারধরে মৃত্যুর যে অভিযোগ পরিবার এবং বিজেপির তরফে তোলা হচ্ছিল, তা কার্যত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। অর্থাৎ মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
চোরাই মোবাইল কেনার অভিযোগে ওই যুবককে বুধবার সন্ধেয় থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখনই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর প্রতিবাদে বুধবার রাতে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ধুন্ধুমার বেঁধে যায় কলেজস্ট্রিট চত্বরে।
ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টা থেকে থানার সামনে বিক্ষোভে বসেন পরিবারের সদস্যরা। মৃতের আত্মীয়া রজনী সাউ বলেন, "একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কীভাবে থানায় ঢোকার ১০ মিনিটের মধ্যে মারা যেতে পারেন। পুলিশ না মেরে থাকলে ওঁর মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল কেন?" তাঁরা থানার ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর দাবি তোলেন।
এই দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে নিহতের পরিজনেরা। একই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। পরিবারের বক্তব্য, রাজ্যের হাসপাতালের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকারির তত্ত্বাবধানে থাকা কোনও হাসপাতালে মৃতের ময়নাতদন্ত করা হোক। তারই মাঝে ময়ানতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মৃতর পরিবারের একাংশ, এই রিপোর্ট মানতে নারাজ।
পুলিশের অবশ্য দাবি, মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। ওই ব্যক্তি নিজেই থানায় অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাতেই তাঁর মাথা ফেটে মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে।