শেষ আপডেট: 6th July 2024 10:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী শুক্রবার নিউ দিল্লি রেল স্টেশনে যে লোকো পাইলটদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁরা বহিরাগত বলে লম্বা বিবৃতি দিয়েছেন উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপক কুমার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সাত-আটজন ক্যামেরাম্যান ছিলেন। ছবিতে লোকো পাইলট বলে যাঁদের দেখা যাচ্ছে তাঁরা বহিরাগত। নিউ দিল্লি রেল স্টেশনের কেউ নন।’ তিনি ভিডিও বিবৃতিও দিয়েছেন।
উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপক কুমার।
গত সপ্তাহে সংসদে বিরোধী দলনেতা অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বলার সময় এক নিহত অগ্নিবীরের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছিলেন শহিদ সেনার পরিবার কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ পায়নি। রাহুল সেই সেই অগ্নিবীরের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। পরদিন সেনা বাহিনীর সদর দফতের একজন পদস্থ সেনা কর্তা লম্বা বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন, নিহত অগ্নিবীরের পরিবারকে ৭৯ লাখ টাকা ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। আরও অর্থ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। যদিও সেনার দাবি উড়িয়ে নিহতের বাবা অন্য কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, যে অর্থ তাঁরা পেয়েছেন তা বিমা পলিসির টাকা। তারসঙ্গে সরকারের ক্ষতিপূরণ বাবদ দেয় অর্থের কোনই সম্পর্ক নেই।
नेता विपक्ष श्री @RahulGandhi ने नई दिल्ली में लोको पायलट्स से मुलाकात कर उनकी समस्याएं सुनीं।
— Congress (@INCIndia) July 5, 2024
लोको पायलट्स के कंधों पर रेलवे सुरक्षा की बहुत बड़ी जिम्मेदारी होती है।
उनकी समस्याओं को दूर कर ही हम सुरक्षित रेलवे के लक्ष्य को पूरा कर सकते हैं। pic.twitter.com/S6tM0g1d0l
বিরোধী দলনেতার তোলা প্রশ্ন, আপত্তির জবাবে এইভাবে সেনাকর্তা-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের এগিয়ে দেওয়া নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। প্রচলিত নিয়ম হল, সাংসদ, বিশেষ করে বিরোধী দলনেতা-সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের তোলা প্রশ্নের জবাব প্রশাসনের কাছ থেকে জেনে মন্ত্রীরা জানান। এছাড়া সরকারি আধিকারিকেরা লিখিত জবাব সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে থাকেন।
কিন্তু বিরোধী দলনেতা রাহুলের ক্ষেত্রে সরাসরি প্রশাসনকে ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে সরকার। যদিও বিরোধী দলনেতার ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান মর্যাদা প্রাপ্য। মন্ত্রীদের মতো বিরোধী দলনেতাকেও একই দৃষ্টিতে দেখার কথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের। কিন্তু মোদী সরকার তাঁদেরই এগিয়ে দিচ্ছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের তোলা প্রশ্নের জবাব দিতে। রেলের অবসরপ্রাপ্ত পদস্থ আধিকারিকেরা কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে জানাচ্ছেন, এই ধরনের ক্ষেত্রে রেলমন্ত্রী আধিকারিকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জবাব দিয়ে থাকেন।
শুক্রবার রাহুল হাতরাস থেকে ফেরার পথে নিউ দিল্লি রেল স্টেশনে গিয়ে লোকো পাইলটদের সঙ্গে দেখা করেন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় একজন লোকো পাইলট-সহ মোট ১১জন নিহত হন। রাহুল নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে ফিরে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘রেল হল ভারতের লাইফলাইন। সেটা যাঁরা রক্ষা করেন তাঁদের অন্যতম হলেন লোকো পাইলটেরা। তাঁদের সমস্যা, অভাব-অভিযোগ শুনে এলাম।’ পরে কংগ্রেসও দলের এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতার নিউ দিল্লি রেল স্টেশনে যাওয়ার ছবি পোস্ট করে।