শেষ আপডেট: 26th June 2024 18:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার লোকসভার স্পিকার পদে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির সাংসদ তথা এনডিএ প্রার্থী ওম বিড়লা। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, যে ভাবে ওম বিড়লা স্পিকার পদে নির্বাচিত হয়েছেন তা অনৈতিক এবং বেআইনি।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পিকার পদে সরকার পক্ষের প্রার্থী হিসাবে ওম বিড়লার নাম প্রস্তাব করেন। অন্যদিকে, বিরোধী পক্ষের প্রার্থী ছিলেন কংগ্রেসের কে সুরেশ। সংসদের নেতা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের উপর ধ্বনি ভোট করেন প্রোটেম স্পিকার ভত্রুহরি মহতাব।
তিনি দাবি করেন, আমার মতে অধিকাংশ সদস্য ওম বিড়লাকে স্পিকার পদে তাঁদের সমর্থনের কথা বলেছেন। অতএব ধ্বনি ভোটে ওম বিড়লা স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও বিরোধী শিবিরের একাধিক সাংসদ তখন ভোটাভুটি দাবি করেন। সংসদ টিভিতে সদস্যদের না দেখানো হলেও তাঁদের কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রোটেম স্পিকার সেই দাবি খারিজ করে দেন। তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অন্তত আটজন বিরোধী সাংসদ ভোটাভুটি চেয়েছিলেন। প্রোটেম স্পিকার তাঁদের দাবি মানেননি।
অভিষেকের বক্তব্য, আসলে সরকার পক্ষের কাছে ওম বিড়লাকে জেতানোর জন্য উপযুক্ত সংখ্যক সাংসদের সমর্থন ছিল না। তাই ধ্বনি ভোটে জয় ঘোষণার কৌশল নেওয়া হয়। অন্যদিকে, এনডিএ’র শরিক দল লোক জনশক্তি (রামবিলাস)-এর প্রধান চিরাগ পাসোয়ান উল্টো দাবি করেন। তিনি বলেন, বিরোধীরা ভোটাভুটি দাবি করেনি। কারণ, ভোট হলে বিরোধীদের অনেক ভোট বিড়লার পক্ষে যেত। তাই বিরোধীরা ভোটাভুটির দাবি করেনি।
তাৎপর্যপূর্ণ হল বিরোধীদের স্পিকার প্রার্থী কে সুরেশ কংগ্রেসের সাংসদ হলেও হাত শিবির ওম বিড়লার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। ইন্ডি জোটের এক প্রবীণ সাংসদের কথায়, বিড়লার বিরুদ্ধে লড়াই ছিল প্রতীকী। লড়াইয়ের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া গেছে আগের বারের মতো তিনি সর্বসম্মত স্পিকার নন। তাই ভোটাভুটি চাওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, সংসদের নতুন ভবনে ভোটাভুটি করতে হলে তা গোপন ব্যালটে হবে। নতুন সংসদে বোতাম টিপে ভোটদানের ব্যবস্থা নেই।