শেষ আপডেট: 7th May 2024 18:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এক ধাক্কায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি দেবাংশু বসাক তাঁর রায়ে বলেছিলেন চাল ও কাঁকর আলাদা করা যায়নি। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও উচ্চ আদালতের এই রায়ের সমর্থনে জোরালো সওয়াল করে বলেছিলেন, মুড়ি-মিছরি আলাদা করা যায়নি। তাই অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যদেরও চাকরি গেছে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কোনওভাবেই হাল ছেড়ে দিতে রাজি হল না। বরং মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানির পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর রায়ে বলেন, মূল প্রশ্ন হল, নিয়োগ তালিকা থেকে কি যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব? তা যদি সম্ভব হয় তাহলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া তথা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া ভুল হবে। এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতে পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ জুলাই।
এদিন শুনানির সময়েও আইনজীবীরা একবার প্রাক্তন বিচারপতির প্রসঙ্গ তোলেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করলেও রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।
‘লাইভ ল’ জানিয়েছে, এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই বিষয়টি যতই স্পর্শকাতর হোক বা রাজনৈতিক ভাবে ত্রুটিপূর্ণ হোক, এর আইনি দিকটিই আমাদের বিবেচনার বিষয়। হাইকোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কিছুই হাসিল হবে না”। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আমাদের পৃথক রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে, কিন্তু এখানে যা হওয়ার আইনগত ভাবেই হবে”।
অনেকের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায় লোকসভা ভোটের মধ্যে বাংলার শাসক দলকে কিছুটা অক্সিজেন দিল। অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যদেরও চাকরি বাতিল করার বিষয়ে আপত্তি করে প্রথম দিন থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, বিচারপতির আসনে বসে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন অভিজিৎ। চাকরিখেকো বলেও তাঁর সমালোচনা করেছেন মমতা।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর অবশ্য তমলুকের বিজেপি প্রার্থী এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া জানালে এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।