শেষ আপডেট: 26th July 2024 22:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একাংশ বিধায়কের চিল চিৎকারে নাকি বিধানসভায় কাক, চিলও বসতে ভয় পায়! ইদানীং বিধানসভার অন্দরে কান পাতলেই শুনতে পাওয়া যেত এমন রসিকতা! এবার ওই একাংশ বিধায়কের চিল চিৎকার বন্ধ করতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কণ্ঠস্বর মাপার যন্ত্র বসানোর প্রস্তাব দিলেন পরিবেশ মন্ত্রী গোলাম রাব্বানি।
শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই প্রস্তাব রেখেছেন রাব্বানি। পরে সংবাদ মাধ্যমকে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, "একাংশ বিধায়ক যেভাবে বিধানসভার অধিবেশনে কারণ ছাড়াই চিৎকার চেঁচামেচি করেন তাতে বিধানসভার পরিবেশ তো নষ্ট হয়ই, কোনও কিছু আলোচনাও করা যায় না। তাই স্পিকারের কাছে কণ্ঠস্বর মাপার যন্ত্র বসানোর প্রস্তাব দিয়েছি।"
পরিবেশ মন্ত্রী গোলাম রাব্বানি।
সূত্রের খবর, পরিবেশ মন্ত্রীর এমন প্রস্তাব মনে ধরেছে স্পিকারেরও। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হতেও পারে। আর সেটা হলে, সহজেই চিহ্নিত হয়ে যাবে, কবে, কোন বিধায়ক বিধানসভার মধ্যে বেশি চিৎকার, চেঁচামেচি করলেন! জানা যাচ্ছে, শুধু যন্ত্র বসানো নয়, সেখানে থাকবে নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মাপকাঠিও। তার ঊর্ধে যাদের কণ্ঠস্বর থাকবে তাঁদের জরিমানার মুখেও পড়তে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা।অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার লবিতে বিরোধী দলনেতার দিকে তেড়ে যান শাসকদলের পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দুর উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "কে আমার মেয়ের চাকরি করিয়েছে?" বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে তৃণমূলের বিধায়ক তপন এও বলেন, "আমার নাকি কলকাতায় দুটো ফ্লাট! তার চাবি দাও আমাকে!" পাল্টা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন শুভেন্দুও। শুভেন্দু-তপনের মধ্যে বেশ কয়েকমিনিট কথা কাটাকাটিও হয়।
বৃহস্পতিবার ওই ঘটনাকে 'অনভিপ্রেত' আখ্যা দিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের সকলকে সংযত আচরণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তবে বিধানসভার মধ্যে হইহট্টোগোল নতুন কোনও ঘটনা নয়। তাই পরিবেশমন্ত্রীর যন্ত্র বসানোর প্রস্তাব ইতিমধ্যে সিংহভাগ বিধায়কের সমর্থন পেতে শুরু করেছে। তবু জনমানসে কৌতূহল একটাই, চিল-চিৎকার কি বন্ধ হবে!