শেষ আপডেট: 14th February 2023 13:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার (Wednesday) রাজ্যের ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরের বাজেট (WB State Budget) পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জিএসটি চালু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের মতো রাজ্য সরকারের বাজেটেও করের হেরফের, বা নতুন কর চাপানোর সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই নানা খাতে বিপুল ছাড় দিয়েছে। ফলে বাড়তি খরচ সামাল দিতে আয় বৃদ্ধির রাস্তা বের করা নবান্নের কর্তাদের কাছে বাড়তি চিন্তার কারণ। বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি সূত্রের খবর, এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আগামী বাজেটে গ্রামের (villages) মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই হবে সরকারের লক্ষ্য।
আর মাস দেড় দুয়েকের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ফলে গ্রামমুখী বাজেট এবার সময়ের দাবি বলা চলে। তাছাড়া, আগামী এক বছরের কাজের খতিয়ানই হবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের হাতিয়ার। স্বভাবতই এবারের বাজেটের বাড়তি রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে।
যদিও গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্য শুধুই পঞ্চায়েত ভোট নয়। এক বছরের বেশি হল কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্যকে পর্যাপ্ত অর্থ দিচ্ছে না। বারে বারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার বরাদ্দ আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একটি সর্বভারতীয় বেসরকারি সংস্থার গত ডিসেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রকল্পে বাংলায় গত এক বছরে প্রায় ৩০ লাখ পরিবার কাজ হারিয়েছে।
ওই সংস্থা জানিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত বছর ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে। এত দীর্ঘ সময় এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রাখার নজির নেই।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার ছাড়াও নানা মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, এই প্রকল্পে কাজ পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত। অফিসার বা পঞ্চায়েতের অনিয়মের অভিযোগে দায় গরিব কর্ম প্রার্থীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
সর্বভারতীয় সংস্থাটি ‘পশ্চিমবঙ্গে মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্ম সংস্থান প্রকল্প ও মজুরির অবস্থা’ শীর্ষক রিপোর্টে বলেছে, কোভিডের আগে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজ্যে ৪৯ লাখ ২৫ হাজার গ্রামীণ পরিবার এই প্রকল্পে কাজ পেয়েছিল। করোনার দু বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ এবং ২০২১- ২২ অর্থ বছরে কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় গড়ে ৭৭ লাখ ৮১ হাজার পরিবার। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম সাড়ে আট মাসে কাজ মাত্র ১৬ লাখ দু হাজার পরিবার।
সরকারি সূত্রের খবর, গ্রামের মানুষের হাতে কাজ দেওয়া ছাড়াও রাস্তাঘাট সংস্কারেও এবারের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে। বিভিন্ন সূত্রে সরকারের কাছে রাস্তা নিয়ে মানুষের ক্ষোভের সংবাদ পৌঁছেছে।
গ্রুপ-ডি চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে তৃণমূল নেতার নামে পোস্টার বাঁকুড়ায়