ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস
শেষ আপডেট: 23 May 2024 17:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় যে আসছে সেটা মোটামুটি স্পষ্টই ছিল। বৃহস্পতিবার আবহাওয়া দফতর জানাল, শনিবারই তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। কোথায় তার ল্যান্ডফল হবে সে নিয়েও ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে ভোটের মধ্যে দুর্যোগের সম্ভাবনা আরও প্রবল হল।
লোকসভা ভোটের আর দুই দফা বাকি। আগামী দুই শনিবার রয়েছে ভোট, তারপর ৪ জুন ভোটগণনা। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বাংলায়। বৃহস্পতিবার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, শুক্রবার সকালে নিম্নচাপটি মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। আরও উত্তর-পূর্বে এগিয়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। শনিবার সকালে এটি অবস্থান করবে মধ্য-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। সেদিন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে গেলে তা আগামী ২৬ তারিখ অর্থাৎ রবিবারই তা আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি। এই সময়ে হাওয়ার গতিবেগ হবে ১০০ কিলোমিটার!
শনিবার এবং রবিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই তিন জেলাতে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে । পাশাপাশি ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ও হতে পারে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝড় বইবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও। এই অবস্থায় ২৩ তারিখ থেকেই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।
রবিবারের আগেই অবশ্য কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২৬ তারিখে ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে প্রতি ঘণ্টায় ঝড় হতে পারে। তার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি। ২৭ তারিখেও কমলা সতর্কতা দেওয়া হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনার জন্য। ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটারে বেগে ঝড় হতে পারে সেদিন।
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে তালিকা অনুযায়ী সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘রেমাল’। ২০২০ সালে মৌসম ভবনের তরফে ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। যদিও আবহাওয়া দফতর এখনও নাম নিয়ে কোনও সরকারি ঘোষণা করেনি। এই ‘রেমাল’ শব্দের অর্থ বালি। আর এই নাম রেখেছে ওমান।