শেষ আপডেট: 13th July 2024 16:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কামরাহাটির ভাইরাল ভিডিওয় (দ্য ওয়াল যে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি) প্রধান অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। গত মঙ্গলবার সন্ধেয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপির আনা ওই অভিযোগ উড়িয়ে পরিস্থিতির জন্য পুলিশকেই কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মদন। একদিনের ব্যবধানে মদন জানিয়েছিলেন, হুমকি ফোনে তাঁকে গুলি করে মারার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
তবে এসব হুমকি কে তৃণমূলের 'কালার ফুল বয়' যে পরোয়া করেন না, শনিবার তৃণমূলের ২১ শে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা থেকে তা স্পষ্ট করলেন মদন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তাঁকে পাশে নিয়ে মদন এদিন বলেন, বেলঘরিয়া, আড়িয়াদহে গুন্ডারাজ বন্ধ করতে পুলিশ কমিশনারের অফিসে মিছিল গেলে, সবার আগে আমি থাকব।
একই সঙ্গে ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে জয়ন্ত সিংদের গুন্ডামির জন্য রাজ্যের কাছে কামারহাটির মাথা হেঁট হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ ব্যাপারে দলের একাংশ কাউন্সিলরকেও নিশানা করেন মদন। সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি। মদন বলেন, দলের একাংশ কাউন্সিলরা নিজেদের মর্জিমাফিক চলছেন, দলীয় অনুশাসন মানছেন না।
কামারহাটির বিধায়কের কথায়, ‘‘যে কাউন্সিলররা দলের কথা শুনছেন না, তাঁরা জেনে রাখুন, এক বছর পর আপনাদের ঘুমিয়ে পড়তে হবে।" এই একাংশ কাউন্সিলরদের জন্যই জয়ন্তদের মতো গুন্ডাদের বাড়বাড়ন্ত বলেও পরোক্ষে অভিযোগ করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।
ঘটনার সূত্রপাত, গত সোমবার সন্ধে থেকে সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও (দ্য ওয়াল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ক্লাবঘরের মধ্যে একজনের হাত এবং পা ধরে রেখেছেন কয়েকজন। চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে রাখা অবস্থাতেই লাঠিপেটা করা হচ্ছে! ভাইরাল ওই ভিডিওর বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ভিডিওয় দেখা যাওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। জেলবন্দি জয়ন্তকেও হেফাজতে নিয়ে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। যে ক্লাব থেকে জয়ন্ত এই গুন্ডামি পরিচালনা করত বলে অভিযোগ, সেই আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবও শুক্রবার থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
বিরোধীরা অবশ্য বলছে, সবটাই আইওয়াশ করার চেষ্টা। মদন মিত্রদের আশীর্বাদ না থাকলে কখনওই এলাকায় এত দাপট থাকতে পারত না জয়ন্তদের। এখন পরিস্থিতির ম্যানেজ দিতে এসব কথা বলা হচ্ছে।