শেষ আপডেট: 3rd August 2024 10:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় প্রবল বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। এর মধ্যে আরও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, জম্মু-কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি চলবে। এর মধ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জম্মু-কাশ্মীর, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল ও উত্তরাখণ্ড এবং ধস-কবলিত কেরলে।
বিহারের ৯টি জেলার জন্য ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিহারে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও। নদীগুলির জল বাড়বে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হিমাচলে ভারী বৃষ্টির জেরে ১১৫টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হিমাচলের তিন জেলায় হড়পা বানে ভেসে যাওয়া ৪৫ জনের খোঁজে ড্রোন নামানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮।
কেরলে আজ ও আগামিকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর। গোটা রাজ্যজুড়েই কোথাও ভারী, কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। কেরলে প্রবল বৃষ্টিতে মৃত্যুস্রোত বেড়েই চলেছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩৫০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এদিন সকালে ধস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন দক্ষিণী অভিনেতা মোহনলাল। টেরিটোরিয়াল আর্মির খোদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহনলাল এদিন সকালে উদ্ধারকারী বেসক্যাম্প পৌঁছে সেখান থেকে এলাকা দেখতে যান।
কেরলের ধস কবলিত এলাকায় দক্ষিণী অভিনেতা মোহনলাল।
শনিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী, চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, বাগেশ্বর এবং নৈনিতাল জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ফলে ফের ব্যাপক পাহাড়ি ধস ও হড়পা বানের আশঙ্কা করছে প্রশাসন। আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলবে বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বানুমান অনুযায়ী অতিবৃষ্টির জেরে হিমালয়ের নদী ও ঝরনাগুলিতে জলস্তর ও স্রোত বাড়বে। হিমবাহগুলি বর্ষায় গলতে শুরু করায় পরিস্থিতি যে কোনও মুহূর্তে বিপজ্জনক হতে পারে।