দ্য ওয়াল ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayat Election) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের নানান জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। গুলি চলেছে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। আবার কোথাও কোথাও রক্ত ঝরেছে, প্রাণ গেছে। নির্বাচন মিটতেই ভোট হিংসায় মৃতদের পরিবারদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এও বলেন, দল নির্বিশেষে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের (compensation) কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার নবান্নের সভাঘর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'সব মৃত্যুই দুঃখজনক। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমি শুধু নিজের দলের কথা বলছি না। তবে এই ১৯ জনের মধ্যে আমাদের দলেরই ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।'

মমতা আরও বলেন, 'সব মৃতদের পরিবারদের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। আমাদের সরকার সব মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবে। পরিবারপিছু ২ লাখ টাকা এবং পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।'

মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভোট-হিংসা নিয়ে বিরোধীরা বারবার রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এদিন বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, '৬০ হাজারের বেশি বুথে ভোট হয়েছে। তারমধ্যে বড়জোর ৬০টি বুথে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। আমি দুঃখিত রাম-বাম-শ্যাম ও আর একজন জোট বেঁধেছিল। প্ল্যান করে করেছে।'

মমতা আরও বলেন, 'আমরা কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে সব মেনেছি। ৭০০ বুথে পুনর্নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন, আমরা তাতেও সায় দিয়েছি। ভোটের বাক্সে জল ঢেলে দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোট নষ্ট করা হয়েছে। কমিশন কেন তাঁদের গ্রেফতার করল না।'

মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, সব জায়গায় অশান্তি হয়নি। শুধু দু'টি জেলায় হয়েছে। মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলায় কিছুটা ঘটনা ঘটেছে। আমি দুঃখিত কয়েকজন মারা গেছে বলে। আপনারা দেখবেন যে জায়গাগুলোতে অশান্তি হয়েছে, সেখানে ২০-২৫ বছর ধরে চিরাচরিতভাবে গন্ডগোল হয়ে আসছে। আমি পুলিশকে ফ্রি হ্যান্ড দিচ্ছি। কাউকে রেয়াত করা হবে না।'

জয়ী নির্দল প্রার্থীর ‘ঘরওয়াপসি’, অভিষেকের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল জলপাইগুড়ি তৃণমূলের