শেষ আপডেট: 10th July 2024 11:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সাক্ষাতের প্রেক্ষাপটে আশা করা হয়েছিল কড়া প্রতিক্রিয়া ছুটে আসবে আমেরিকার দিক থেকে। কিন্তু, বাজার অর্থনীতির আলোছায়ায় মোদী-পুতিন বৈঠকের পরদিন বেশ নরম সুরেই ভারতের উপর আস্থা পোষণ করেছে মার্কিন সমর দফতরের সদর কার্যালয় পেন্টাগন।
পেন্টাগনের প্রচার সচিব মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ভারত হল আমেরিকা কৌশলগত বন্ধু। তাই ভারতকে তারা কৌশলগত কারণে ভবিষ্যতেও বন্ধু হিসেবে মনে করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সদ্য মস্কো সফরে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে দুদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
বিশেষত মোদীর এই সফর ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম ক্রেমলিন যাত্রা। যেখানে গোটা ইউরোপ সহ আমেরিকা এই যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে, সেখানে পুতিনের সঙ্গে মোদীর এই ঢলাঢলি দেখে আশঙ্কা করা হয়েছিল আমেরিকা মনোক্ষুণ্ণ হতে পারে। কিন্তু কৌশলগত কারণে রাশিয়ার বন্ধুদেশ চিনকে নয়া বার্তা দেওয়াই ভারতের বিদেশ কূটনীতির অঙ্গ ছিল।
আরও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ভারত-রুশ এই বৈঠকের পাশাপাশি ওয়াশিংটনে চলছিল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটোর সম্মেলন। যেখানে এই সংগঠনের ৩২টি দেশ অংশ নিয়েছিল। ন্যাটোর সদস্যভুক্তি না হওয়ার কারণে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং উত্তর কোরিয়া এর বাইরে ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে পেন্টাগনের প্রচার সচিব মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারতকে এখনও আমরা বন্ধুদেশই মনে করি। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যে সম্পর্কই থাক না কেন আমরা ভারতের সঙ্গে পুরোদমে ও খোলা মনে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তা থেকে সরে আসার কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, আসলে প্রেসিডেন্ট পুতিন চাইছেন তিনি যে বাকি দুনিয়ার কাছে নির্বাসিত হয়ে পড়েননি, তা বোঝাতে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতে মোদী তাঁকে যুদ্ধ থামাতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।