শেষ আপডেট: 22 February 2024 08:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফিটার ট্রেনিং নেওয়ার পরেও দেশে কাজ জোটেনি। তাই সুদূর উজবেকিস্তানে কাজ করতে গিয়েছিলেন বাংলার কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু, সেখান থেকে আর ফেরা হল না পূর্ব মেদিনীপুরের দুই যুবকের। প্রলয়ঙ্কর তুষারঝড়ে প্রাণ গেল দু’জনের।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকে দুর্যোগ শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানে। তুষারঝড়ে লন্ডভন্ড সব। তার মধ্যেই একটি টিনের ওয়ার্কশপ ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানেই কাজ করছিলেন বাংলার কয়েকজন শ্রমিক। টিনের শেড ভেঙে পড়ে তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও অনেক। দুর্ঘটনায় উজবেকিস্তানের ওই কারখানায় ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে ভারতের অনেকে রয়েছেন বলে খবর।
বাংলার যে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের নাম সইফুদ্দিন মাইতি (২৬) এবং রাজীব করণ (৩২)। সইফুদ্দিনের বাড়ি হলদিয়ার চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রাজনগরে। রাজীব করণের বাড়ি কাঁথির রামনগরে। কয়েক মাস আগে তাঁরা উজবেকিস্তানে কাজ করতে গিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ‘ইন্টার ইঞ্জিনিয়ার’ নামে একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন দু’জনেই। ওই সংস্থার সাইট অফিসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তুষারঝড়ে টিনের শেড ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। সেখানে যে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন তাঁদের অনেকেই চাপা পড়ে যান। সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃতদের মধ্যে বাংলার ওই দুই শ্রমিকের নামও রয়েছে।
ওই কারখানাতেই কর্মরত হলদিয়ার শিবরামনগরের পরিমল পট্টনায়ক নামে আরেকজন শ্রমিক এই খবর নিশ্চিত করেছেন। দুর্ঘটনার স্থল থেকে কিছুটা দূরে তিনি ছিলেন। তিনিই সইফুদ্দিনের রাজনগরের বাড়িতে খবর পাঠান। ২০১৮ সালে বিয়ে করেন সইফুদ্দিন। বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। পরিবারের লোকজনেরা জানাচ্ছেন, ফিটার ট্রেনিং নেওয়ার পরেও এলাকায় কাজ জোটেনি। নিরুপায় হয়েই ভিন দেশে যেতে হয়। আর সেখানেই মর্মান্তিক পরিণতি হল।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই শ্রমিকের দেহ দেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পুলিশ।