শেষ আপডেট: 18th April 2024 12:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করল আমেরিকা। টেসলার সিইও এলন মাস্ক এ বছরের গোড়ার দিকে ভারত কেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী সদস্যপদ পাবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারই জবাবে আমেরিকার মত হচ্ছে, তারা সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘেরও নানান শাখা ও নিয়মবিধির সংস্কার চায়। যার মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ শাখা সংগঠন রয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবি করে আসছে।
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রকের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার সংস্কার চায় আমেরিকা। এ নিয়ে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। প্যাটেল বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।
প্যাটেল আরও বলেন, একবিংশ শতকের পৃথিবীর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আমরাও নিরাপত্তা পরিষদসহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের একাধিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের পক্ষে। সেই পদক্ষেপগুলি কী হবে, তা নিয়ে আমি স্পষ্ট কোনও রূপরেখা দিচ্ছি না। তবে অবিলম্বে সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এলন মাস্ক রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারতের না থাকাকে অবাস্তব বলেছিলেন। মাস্ক বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ ভারতের না থাকা নিয়ে প্রস্তাব তোলেন। তাঁর মতে, এতে নিরাপত্তা পরিষদে সকলের প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। এই নীতির পরিবর্তন জরুরি বলে দাবি জানিয়েছিলেন মাস্ক।
মাস্কের মতে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংগঠনের পুনর্বিবেচনা, সংযোজন, পরিবর্ধন করা জরুরি। সমস্যা হচ্ছে, যাদের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা রয়েছে, তারা তা ছাড়তে রাজি নয়। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারা এখনও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ পায়নি। এটা অবাস্তব, বলেন মাস্ক।
শুধু ভারত নয়, সংযুক্ত আফ্রিকা মহাদেশকে হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য করা উচিত বলেও মতপ্রকাশ করেন মাস্ক। প্রসঙ্গত, ভারতের এই দীর্ঘদিনের দাবিকে ২০২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি ২০ সম্মেলনের মঞ্চে সমর্থন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।