রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক।
শেষ আপডেট: 20th July 2024 10:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে শুক্রবার প্রাণ হাতে করে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন তিন শতাধিক ভারতীয়। যাদের সিংহভাগই পড়ুয়া। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা শতাধিক। এখনও পর্যন্ত ১০৫ জন মৃতর মধ্যে রয়েছেন একাধিক ছাত্রও। আহতর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছুঁই ছুঁই। গোটা ঘটনায় এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জ।
ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে অবিলম্বে ছাত্রদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য হাসিনার সরকারকে বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সরকারের উদ্দেশে টার্কের বার্তা, এভাবে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। দোষীদের চিহ্নিত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেছেন তিনি।
তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার যেভাবে কার্ফু জারি করে সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান।
কোটা বিরোধী আন্দোেলনকে কেন্দ্র করে গত সোমবার থেকে বাংলাদেশে উত্তেজনা তৈরি হয়। মঙ্গল ও বুধবার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। বৃহস্পতিবার থেকে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইন্টারনেট বন্ধ। সীমিত সময়ের জন্য কোথাও কোথাও পরিষেবা ফেরানো হচ্ছে। অনিয়মিত মোবাইল সার্ভিসও।
আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে দেশজুড়ে নজিরবিহীনভাবে বন্ধ করা হয়েছে ট্রেন চলাচলও। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। উল্টে শুক্রবার বাংলাদেশের জেলে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। জেল ভেঙে বন্দি পালানোর ঘটনাও ঘটে। এরপরই কার্ফু জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে হাসিনার সরকার।