শেষ আপডেট: 1st August 2024 18:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁর আমলা হওয়ার স্বপ্নে 'দাঁড়ি' পড়ে গেছে। পূজা খেদকারকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ইউপিএসসি। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে চাকরি বাতিলের পর দিল্লির আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পূজা। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খেয়েছেন তিনি। তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
'বিশেষভাবে সক্ষম' হওয়ার জাল নথি জমা দিয়ে পূজা খেদকার ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করার জন্য সুবিধা নিয়েছিলেন বলে মূল অভিযোগ। পাশাপাশি ট্রেনি অফিসার থাকাকালীন তিনি পদের অপব্যবহার করেন বলেও দাবি করা হয়েছে। বিতর্ক বাড়তে থাকায় তাঁকে প্রথমে বদলি করা হয়েছিল, পরে তাঁর ট্রেনিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর খোদ ইউপিএসসি-ই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। দিল্লি পুলিশ সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করায় পূজা আশঙ্কা করেছেন তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এই কারণেই দিল্লির আদালতের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে তা খারিজ হয়েছে।
এই মামলার শুনানিতে পূজা বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মাশুল তাঁকে দিতে হচ্ছে। এক অফিসার তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্যই এখন তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি পূজার। যদিও সরকারি আইনজীবী এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে পাল্টা বলেন, পূজা শুরু থেকে মিথ্যে বলে আসছেন, ভুয়ো নথি জমা দিয়ে সিস্টেমের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, ইউপিএসসি-কেও অন্ধকারে রেখেছেন।
বুধবার ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষ পূজার প্রার্থীপদ বাতিল করে দেয়। এমনকী ভবিষ্যতেও তিনি আর পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। ভুয়ো পরিচয়ে একাধিকবার তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন বলে ইউপিএসসি তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাঁরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার বিধিভঙ্গ করেছেন বলে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পূজা। এ বিষয়ে তাঁকে একটি শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছিল। গত ১৮ জুলাই পাঠানো ওই নোটিসে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
শোকজের জবাব দেওয়ার বদলে ৩৪ বছর বয়সি শিক্ষানবীশ আইএএস চাকরিপ্রার্থী ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, ইউপিএসসি তাঁকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দেয়। এছাড়া পূজাকে এও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এরমধ্যে উত্তর না পেলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপই নিয়েছে ইউপিএসসি।