শেষ আপডেট: 2nd August 2024 17:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'বিশেষভাবে সক্ষম' হওয়ার জাল নথি জমা দিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করার সুবিধা নিয়েছিলেন পূজা খেদকার, এই অভিযোগে তাঁকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ইউপিএসসি। তাঁর প্রার্থী পদ বাতিল করেছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন। বিগত কয়েকদিন এই ঘটনায় দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর পূজার ঘটনাটি সামনে আসার পরই প্রতিবন্ধকতা সার্টিফিকেট যাচাইয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষানবিশ এবং চাকুরিরত অফিসারের প্রতিবন্ধকতা সার্টিফিকেটের স্ক্রুটিনি শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, পূজার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই আরও ছয় জন সিভিল সার্ভিস প্রার্থীর ‘ভুয়ো’ প্রতিবন্ধকতা সার্টিফিকেট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ছয় জনের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট যাচাই শুরু করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনাল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি)। ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন আইএএস এবং একজন আইআরএস অফিসার বলে জানা গিয়েছে।
খোদ ইউপিএসসি-ই পূজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। দিল্লি পুলিশ সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করায় গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা করেন পূজা। তাই চাকরি বাতিলের পরই দিল্লির আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তড়িঘড়ি আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালতেও ধাক্কা খেয়েছেন পূজা। তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
ভুয়ো পরিচয়ে একাধিকবার পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে পূজাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ইউপিএসসি। এক বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার বিধিভঙ্গ করেছেন পূজা। এ বিষয়ে তাঁকে একটি শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছিল। গত ১৮ জুলাই পাঠানো ওই নোটিসে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
শোকজের জবাব দেওয়ার বদলে ৩৪ বছর বয়সি শিক্ষানবীশ আইএএস চাকরিপ্রার্থী ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। ইউপিএসসি তাঁকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দেয়। এছাড়া পূজাকে এও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এরমধ্যে উত্তর না পেলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ইউপিএসসি। এরই মাঝে আরও ৬ সিভিল সার্ভিস অফিসারকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।