শেষ আপডেট: 6th August 2024 17:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশত্যাগী শেখ হাসিনার এই মুহূর্তে ভারত ছেড়ে অন্য দেশে বিশেষত ব্রিটেনে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসছে। ফলে আরও দিন দুয়েক বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের আশ্রয়েই থাকতে হবে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, বিষয়টি যেহেতু খুবই গোপনীয়তার মধ্যে রয়েছে, তাই হাসিনার বর্তমান আশ্রয়স্থল ও গতিবিধি সম্পর্কে কোনও খবরই মিলছে না।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে রাজনৈতিক আশ্রয় বা অস্থায়ী শরণার্থী হিসেবে অনুমতি দেওয়ার বিধি অভিবাসন আইনে নেই। কের স্টার্মার নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া ব্যক্তি প্রথম নিরাপদ আশ্রয় পাওয়া দেশের কাছে এই অনুমতি চাইতে পারেন। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাদের প্রয়োজন তাদের সুরক্ষা দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে আমাদের। কিন্তু, অস্থায়ীভাবে বেড়াতে আসা কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিধি নেই।
এদিন সকালে বাংলাদেশের ডেইলি সান এক খবরে জানিয়েছে, ভারত হাসিনাকে অন্তর্বর্তীকালীন আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে। এমনকী তাঁর বিমানে জ্বালানি ভরে দেওয়া কিংবা পরিবহণ সুবিধাও দিতে পারে নয়াদিল্লি। কিন্তু, তাঁর ব্রিটেন সফরে ভিসা এই মুহূর্তে আটকে থাকায় ঘোর সংকটের মধ্যে রয়েছেন তিনি। কারণ, ভারত হাসিনাকে দীর্ঘদিন ধরে কিংবা চিরস্থায়ী আশ্রয় দিতে মনেপ্রাণে নারাজ। কারণ তা হলে এদেশেও পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানা এনিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতের শরণাপন্ন হলেন। ১৯৭৫ সালে তাঁদের বাবা মুজিবুর রহমান হত্যার সময় তাঁরা জার্মানির বার্লিন থেকে গোপনে এসে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পান্ধারা রোডে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সেফ হাউসে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের অতিথি হয়ে প্রায় বছর ছয়েক ছিলেন তাঁরা।