ইউরো ফাইনালের আগে বিয়ার নিয়ে উন্মাদনা জার্মানিতে।
শেষ আপডেট: 13th July 2024 14:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিয়ার মোটামুটি ইংল্যান্ডে ফুটবল উন্মাদনার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই পরিচিত। প্রিয় ক্লাবের খেলা দেখতে সমর্থকরা প্রায়ই ভিড় করেন বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বা পাবে। জায়ান্ট স্ক্রিন খাটিয়ে 'ফ্যান জোন'-ও তৈরি করা হয়। সেখানে খেলা দেখা নিয়ে হুল্লোড়ের পাশাপাশি দেদার চলে বিয়ার। জার্মানিতে বিয়ার নিতে এতটা মাতামাতি নেই। কিন্তু ইউরোতে যাতে ভক্তদের পানভোজনে কোনও ত্রুটি না থাকে, সে'জন্য জার্মান ফুটবল সংস্থা আয়োজনে কোনও কসুর রাখেনি। ফলে প্রত্যেক আয়োজক শহরে ঢালাও বিয়ারের বিক্রি হচ্ছে। তার ওপর গরমটাও বেড়েছে। ফলে বার্লিন হোক বা স্টুটগার্ট, ডুসেলডর্ফ হোক বা হামবুর্গ, গ্যালারিতে বিয়ারের গ্লাস নিয়ে সমর্থকদের ঢল নেমেছে জার্মানিতে।
যথারীতি, এই তালিকায় ইংরেজ ও স্কটিশ সমর্থকরাই এগিয়ে। ইংরেজ ভক্তদের বিয়ার প্রীতির এমনই 'সুনাম' আছে যে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এই নিয়ে রীতিমত সতর্কতা জারি করেছিল ব্রিটিশ বিদেশদফতর। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, 'জার্মান বিয়ার কিন্তু ব্রিটিশ বিয়ারের চাইতে বেশি কড়া। দেখেশুনে খাবেন, নিজের ওজন বুঝে চুমুক দেবেন এবং অতি অবশ্যই, স্থানীয় আইন মেনে চলবেন। বেশি খেয়ে ফেললে কিন্তু স্টেডিয়ামে ঢুকতে না-ও দিতে পারে!'
জার্মানির বিভিন্ন শহরে আবার বিভিন্ন রকমের বিয়ারের ব্র্যান্ড জনপ্রিয়। বিয়ার জার্মান সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ। মিউনিখের যেমন ডাঙ্কেল, হেলেস, অগাস্টিনার-কেলার, কোলনের কোলসখ, লাইপজিগের পিলৎজনার, গোজে, ডর্টমুন্ডের ডর্টমুন্ডার এক্সপোর্ট, ডুসেলডর্ফের অল্টবিয়ার বিখ্যাত। পর্যটকরা এলেই শহর ঘোরার পাশাপাশি শহরের স্থানীয় বিয়ারে একটু গলা ভিজিয়ে যান। আপাতত ইউরোর সমর্থকদের ঢল নেমেছে বার্লিনের দিকে। ইতিমধ্যেই শহরের হোটেল সব ভর্তি, রাস্তায় ইংরেজ ও স্পেনীয় সমর্থকরা দলে দলে ভিড় জমিয়েছেন। স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আসবেন খেলা দেখতে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজেরও থাকার কথা।
এসবের মাঝেই বিয়ার নিয়ে মজার গল্প শুনিয়েছেন ইংল্যান্ডের তারকা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ডেক্লান রাইস। বিয়ার তাঁর একেবারেই না-পসন্দ। একাধিকবার রাইস জানিয়েছেন, তিনি বিয়ার খান না, গন্ধটাই সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু ইংল্যান্ড ইউরো জিতলে তিনি জীবনের কঠিনতম কাজটা করে ফেলবেন। অর্থাৎ, এক গ্লাস বিয়ার চেখে দেখবেন।
গতবার, ২০২১ ইউরো ফাইনালের আগেও রাইস একই কথা বলেছিলেন। ইউরো জিতলে বিয়ারে হাতেখড়ি করবেন। শেষ অবধি ইউরো লন্ডন থেকে পাড়ি দিয়েছিল রোমে। রাইসের আর বিয়ার খাওয়াও হয়নি। বার্লিনে সাংবাদিক সম্মেলনে রাইস বলেছেন, 'আগেরবার কী বলেছিলাম মনে আছে। তারপর থেকে আমি অবশ্য মাত্র একবারই বিয়ার খেয়েছি। তবে লেমোনেড মিশিয়ে। এবারে জিতলে একেবারে আসল, খাঁটি বিয়ার খেয়ে দেখব।'
সঙ্গে অবশ্য যোগ করেছেন, 'কী জানি, হয়ত নাক চেপে ধরতে হবে, গন্ধটা যা অসহ্য!'