শেষ আপডেট: 1st August 2024 17:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'অব তক ছাপ্পান' স্টাইলে 'ঠোক দে...' ভঙ্গিমায় প্যারিস অলিম্পিক্সে রুপো। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল শুটিং বিভাগে তুরস্কের মিক্সড টিমের পুরুষ সদস্য ৫১ বছরের ইউসুফ দিকেচ-কে নিয়ে এখন হইহই কাণ্ড রইরই রব। নিজের পাওয়ারওয়ালা চশমা ছাড়া শুটিংয়ের জন্য বিশেষ চশমা বা কানে বাইরের শব্দ আটকানোর ইয়ারগার্ড কোনওটাই ছিল না তাঁর। পকেটে বাঁ হাত রেখে ডান হাতে পিস্তল উঁচিয়ে নিশানা ভেদ করে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। মুম্বইয়ের অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র, অজয় দেবগণ, শাহরুখ, সলমন, অক্ষয় কুমার ও নানা পাটেকরের মতো অনায়াসে গুলি চালিয়ে নেটদুনিয়ায় পটাকা ফাটিয়ে দিয়েছেন ইউসুফ।
শুটিং বিভাগে প্রতিটি প্রতিযোগীই বিশেষ ধরনের পোশাক পরেন। বিশেষত মনোসংযোগ বৃদ্ধি ও দৃষ্টির স্বচ্ছতা রাখতে শুটিং চশমা ও শ্রবণরোধী 'বর্ম' পরেন তাঁরা। যা অনেকটা হেডফোনের মতো দেখতে। কিন্তু, এই বিভাগের ফাইনালে ইউসুফকে দেখা গেল 'বোম্বাইয়ের বোম্বেটে' গোছের কায়দায় 'ভাইলোগের' স্টাইলে পিস্তল ছুড়তে। যা দেখে আপ্লুত তামাম দর্শকমণ্ডলী। নিমেষে নেটদুনিয়ায় তা ভাইরাল।
ওইভাবে পিস্তল চালিয়ে তিনি ও তাঁর সঙ্গিনী প্যারিস অলিম্পিক্সে রুপোর পদক গলায় ঝুলিয়ে নিলেন। শুধু ফাইনাল রাউন্ডেই নয়, দিকেচ শুরু থেকেই এভাবে পিস্তল চালিয়ে অনেক প্রতিযোগীকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তুরস্কের মধ্যবয়সি এই শুটারের এনিয়ে পঞ্চম অলিম্পিক্স। ২০০৮ সালে তিনি বেজিং অলিম্পিক্সে তাঁর আত্মপ্রকাশ। তবে এই প্রথম তিনি পদক জয় করলেন।
এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন সার্বিয়ার জোরানা আরুনোভিচ ও দামির মাইকেচ। ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ভারতের মনু ভাকের এবং সরবজ্যোৎ সিং। কিছু মিমে তাঁর ছবির সঙ্গে সার্বিয়ার দামির মাইকেচের ছবি পাশাপাশি দিয়ে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, সোনাজয়ী শুটার কীরকম একচোখে ব্লাইন্ডার লাগিয়ে অন্য চোখে একটি লেন্স পরে আছেন। এমনকী কানে না শুনতে পাওয়ার একটি সামগ্রী লাগিয়ে রেখেছেন। পাশে রয়েছে সাধারণভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ইউসুফের ছবি।
তাঁদের এই জুড়ির রুপো জয় কেবলমাত্র এবারেই নয়, তুরস্কের প্রথম অলিম্পিক ভিক্টরি স্ট্যান্ডে পতাকা নাড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। ইউসুফের সিনেমার মতো কাহিনির শেষ এখানেই নয়, সিজন ২ অপেক্ষা করছে ২০২৮ সালের জন্য। পদকপ্রাপ্তির পর ইউসুফ বলেন, ২০২৮ সালের লস এঞ্জেলস অলিম্পিক্সের দিকে তাকিয়ে রইলাম। সেখানে আশা করি সোনা জিততে পারব।