সরকারের জমি দখল করেছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর। নিজস্ব চিত্র।
শেষ আপডেট: 3rd July 2024 00:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি জমি জবরদখলের প্রশ্নে কাউকেই রেয়াত করা হবে না, গত সপ্তাহে নবান্নের বৈঠকে স্পষ্ট করেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তৃণমূলের ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি ব্লকের সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
এবার শিলিগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের গাজলডোবায় তৃণমূল কাউন্সিলের রঞ্জনশীল শর্মার অবৈধ নির্মাণে বুলডোজার চালাল মমতার প্রশাসন।
এদিন গাজলডোবা এলাকায় সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করার পর সেখানে সরকারি সাইনবোর্ড লাগানো হল। বিএলআরও সুখেন রাই বলেন, "সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে পেরে ভাল লাগছে। যারা সরকারি জমি দখল করে রেখেছেন তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
জমি দখলমুক্ত করার পর লাগানো হল সরকারি বোর্ড। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর সম্প্রতি গাজলডোবায় সরকারি জমি উদ্ধার করতে গিয়ে প্রশাসনের নজরে আসে যে বহু সরকারি জমি দখল হয়ে গিয়েছে। দেখা যায় প্রায় আট বিঘা খাস জমি দখল করে সেখানে ভেড়ি বানিয়ে মাছের চাষ ফেঁদে বসেছেন খোদ শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সির রঞ্জনশীল শর্মা। শুধু তাই নয়, খাস জমির একাংশে স্থায়ী নির্মাণও গড়ছিলেন তিনি।
এরপরই এদিন বিকেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী সঙ্গে নিয়ে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন এবং রাজগঞ্জের বিএলআরও সুখেন রাইয়ের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেই নির্মাণ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে প্রশাসনকে ধন্য ধন্য করছেন বাসিন্দারা। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে তাঁরা বলছেন, "একেই বলে বুকের পাটা! অন্যায় দেখলে দলের লোককেও ছাড়েন না।"
প্রশাসন জানিয়েছে, রাজগঞ্জ ব্লকে আরও অনেক সরকারি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। সার্ভের কাজ চলছে। যদি দেখা যায় ওই জমিগুলি সরকারি তবে একইভাবে সেগুলিও উদ্ধার করা হবে।