শেষ আপডেট: 14th June 2024 20:15
উইম্বলডনে বাংলার চার প্রতিনিধি থাকছেন এবার। সেন্টার কোর্টের এই গ্র্যান্ডস্লামে ১ জুলাই থেকে খেলা শুরু হবে। তার আগে বাংলার এই চার প্রতিনিধিও হাজির থাকবেন খেলোয়াড় হিসেবে নয়, নিখাদ অফিসিয়াল হিসেবে।
সবথেকে অবাক করা তথ্য, সবাই প্রায় হাওড়া-হুগলির গঙ্গার পাড়ের বাসিন্দা। বালির অভিষেক মুখোপাধ্যায় যেমন থাকবেন আম্পায়ার হিসেবে। তিনি দীর্ঘ দুই দশক ধরে টেনিসের আম্পায়ারিং করছেন। চারটি গ্র্যান্ড স্লামের সবেতেই তিনি আম্পায়ারিং করেছেন। অভিষেকের অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ। তাঁর ভাণ্ডারে বহু স্মৃতি।
শ্রীরামপুরের সৈকত রায়, সোমনাথ মান্না ও শৈবাল মান্নাও লন্ডনে থাকবেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘দ্য ওয়াল’কে একান্ত সাক্ষাৎকারে সৈকত জানালেন তাঁদের স্বপ্নের উত্তরণের কথা। তিনি এর আগে ফরাসি ওপেন ছাড়া বাকি তিনটি গ্র্যান্ড স্লামে একাধিকবার লাইন জাজের কাজ করেছেন।
সৈকত ২০ জুন কলকাতা ছাড়বেন। উইম্বলডনে যাওয়ার আগে তিনি যাবেন নটিংহ্যামে একটি টুর্নামেন্টে খেলাতে। তারপর উইম্বলডনে খেলানোর পরে সুইজারল্যান্ডে যাবেন একটি এটিপি টুর্নামেন্ট খেলাতে। তারপর অগস্টের শুরুতে কলকাতায় ফিরবেন।
শ্রীরামপুর মাহেশের সৈকত শুরু করেছিলেন প্রথমে খেলোয়াড় হিসেবে, তারপর কোচ হিসেবে নাম করেছেন সল্টলেকে বেঙ্গল টেনিস সংস্থায়। কিন্তু টেনিস আম্পায়ারকে যে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়, তা সৈকতদের বুঝিয়েছিলেন টেনিসের কিংবদন্তি আম্পায়ার ব্রিটিশ জেরি আমস্ট্রং। সৈকত ছাড়াও অভিষেক, সোমনাথদের বোঝান জেরি। তারপরেই বাংলার চার আম্পায়ারের চোখ খুলে যায়।
শ্রীরামপুরের গর্ব সৈকত রায়, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ মান্নাদের মধ্যে সৈকতই শুধু কলকাতায় রয়েছেন। সোমনাথ রয়েছেন চণ্ডীগড়ে, আর বালির অভিষেক রয়েছেন তাইওয়ানে। সৈকত ও অভিষেক ১৯৯৯ সালে মুম্বইতে আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থার নেওয়া পরীক্ষায় পাস করতে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তারপর থেকে গ্র্যান্ড স্লাম তো বটেই, পাশাপাশি বিভিন্ন এটিপি টুর্নামেন্ট খেলতেও তাঁরা বছরের বেশিরভাগ সময়ে বিদেশে থাকেন। তাঁদের পায়ের তলায় সত্যিই সর্ষে রয়েছে।