শেষ আপডেট: 13th May 2024 18:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি পুণের পরিচিত মুখ। শহর কংগ্রেসের সভাপতি। তার উপর নামজাদা শিল্পপতি। একডাকে চেনেন শহরের মানুষ। সোমবার পুণে লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। দুপুরে বুথে গিয়ে শহর কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ শিন্ডে শুনলেন, তাঁর ভোট পড়ে গিয়েছে।
তিনি পুণের রাস্থা পেট এলাকার সেন্ট মীরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বুথের ভোটার।
মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ খুব বেশি শোনা যায় না। পুণে শহরেও রিগিং ছাপ্পার অভিযোগ কম। সেই শহরে পরিচিত একজন ভোটারের ভোট কীভাবে পড়ে গেল তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা এই অনিয়ম সরকারিভাবে বুথে নথিভুক্ত করিয়েছেন। তিনি টেন্ডার ভোট দিয়েছেন।
টেন্ডার ভোট কী?
একজন ভোটারের ভোট অন্য কেউ দিয়ে দিলে টেন্ডার ভোট দেওয়া যায়। নির্বাচন সংক্রান্ত জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে বলা আছে ভোটার তালিকায় নাম থাকা সকলের ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে ভোট পড়ে গেলেও কোনও বৈধ ভোটারের অধিকার খর্ব করা যায় না।
টেন্ডার ভোট দিতে চাইলে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তিনি ভোটারের পরিচিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে টেন্ডার ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
তবে টেন্ডার ভোট ইভিএমে দেওয়া যায় না। এই ভোট নেওয়া হয় পেপার ব্যালটে। প্রতি বুথে ২৫টি করে পেপার ব্যালট থাকে। যদি কোনও বুথে ২৫টি টেন্ডার ভোট পড়ে তাহলে কমিশন ধরে নেয় সেখানে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সেই বুথের ভোট বাতিল করা হয়।
টেন্ডার ভোট নিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, এই ভোট সাধারণত গোনা হয় না। প্রিসাইডিং অফিসার একটি খামে সিল করে রাখেন। কখনও ভোটের ব্যবধান খুব সামান্য হলে তখন টেন্ডার ব্যালট গোনা হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে অনেকেই টেন্ডার ভোট দিয়ে থাকেন।