শেষ আপডেট: 5th October 2023 16:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: লাগাতার বৃষ্টি চললেও বৃহস্পতিবার সকালে উন্মত্ত তিস্তার রূপ ছিল অনেকটাই শান্ত। তাই ভরসা পেয়েছিলেন সংলগ্ন এলাকার মানুষ। ত্রাণ শিবির ছেড়ে তাঁদের অনেকেই রওনা হয়েছিলেন ঘরের পথে। কিন্তু বেলা বাড়তেই আবার বিপদ সংকেত। ফের তিস্তায় জল বাড়ার সতর্কতা জারি করল প্রশাসন। তাই জলপাইগুড়ির তিস্তাচরের মানুষদের ত্রাণ শিবিরে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
সিকিমের ডিকচু ড্যাম থেকে ছাড়া হয়েছে প্রচুর জল। কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে এই খবর আসতেই ফের নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। ডিকচু বাঁধের জলে জলপাইগুড়িতে তিস্তা ফের ভাসতে পারে বলে আশঙ্কা। জেলা প্রশাসনের তরফে জলপাইগুড়ি সদর, রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি ও ক্রান্তি এলাকার বিডিও ও এসডিওদের সতর্ক করা হয়েছে। তিস্তার চর থেকে ফের মানুষজনকে সরিয়ে আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে ঘরে ফিরেছিলেন যাঁরা, তাঁদের আবারও শিবিরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
বুধবার ভোরের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অবস্থা সিকিমের। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চার জেলা নামচি, মংগন পোকিয়ং ও শোরেং। এরমধ্যে পোকিয়ংয়েই মারা গেছেন ৭ জন। নিখোঁজ ৪০ থেকে ৫০ জন। সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় ১৪ টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। এখনও বৃষ্টি চলায় ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। রাস্তা বন্ধ থাকায় আটকে পড়া পর্যটকদের উড়িয়ে নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে।
বুধবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে যায় সিকিম। উত্তর সিকিমের চুংথাংয়ে দক্ষিণ লোনাক হ্রদের বাঁধ ভাঙায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে থাকে তিস্তার জল। জল ছাড়া হয় তিস্তা ব্যারেজ থেকেও। এরফলে নদী সন্নিহিত এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। রাতারাতি ত্রাণশিবিরে সরিয়ে আনা হয় তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের।