শেষ আপডেট: 8th October 2023 00:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুজোর মুখেই একেবারে বিধ্বস্ত বাঙালির প্রিয় বেড়ানোর ঠিকানা সিকিম। বৃহস্পতিবার রাতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে সিকিমের বিস্তীর্ন অংশ তলিয়ে গিয়েছে জলের তলায়। সেই সঙ্গে তিস্তার রুদ্র রূপের বলি হয়েছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সিকিমে আটকে রয়েছেন প্রায় ২০০০ পর্যটক। এই তালিকায় রয়েছেন দুর্গাপুরের এক চিকিৎসকও।
প্রতি বছরই পুজোর মরসুমে সিকিম ঘুরতে যান বহু পর্যটক। পুজোর সময়ে ভীড় হতে পারে এই আশঙ্কায় পুজোর আগেই বেড়ানো সেরে ফেলতে চান অনেকে। সেই তালিকায় ছিলেন ইএসআই ফলতার চিকিৎসক রাহুলদেব মাজি। পুজোয় ছুটি পাবেন না, সেই কারণে ৮ বন্ধুকে নিয়ে পুজোর আগেই সেপ্টেম্বরের শেষের দিকেই রওনা দিয়েছিলেন সিকিমের উদ্দেশ্যে। তবে বৃহস্পতিবার হড়পা বানের পর থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি রাহুলদেবের পরিবার। এতেই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন সকলে।
দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের ডক্টর্স কলোনির প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সরণির বাসিন্দা রাহুলদেবের সঙ্গে শেষবার তাঁর পরিবার যোগাযোগ করে উঠতে পেরেছিলেন ৩ অক্টোবর রাত ৯টা নাগাদ। ৩০ সেপ্টেম্বর বর্ধমানের একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এই ট্যুরটির ব্যবস্থা করেন রাহুলদেব এবং তাঁর বন্ধুরা। জানা গেছে, তাঁদের এই ৮ জনের দলে দুর্গাপুরের ৬ জন ও বর্ধমানের ২ জন বাসিন্দা রয়েছেন। কারও সঙ্গেই এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। রাহুলদেবের বাবা বিদ্যুৎ কুমার মাজি জানান, ৩ অক্টোবর রাহুলদেব জানান তাঁরা লাচেনের একটি হোটেলে রয়েছেন। তবে বিপর্যয়ের পরে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
ছেলের সন্ধান পেতে ভ্রমণ সংস্থা এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন মাজি পরিবার। সেনাবাহিনীরও দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে সিকিমের এই ঘটনায় নিখোঁজ বালুরঘাটের ৭ পরিযায়ী শ্রমিক। তিস্তা মৃতদেহ ফিরিয়ে দেবে নাকি অক্ষত অবস্থায় পরিজনদের ফিরে পাবেন সেই চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের।