শেষ আপডেট: 19th April 2024 16:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুরাণের কাহিনি কি তবে সত্যি হল? অমৃতলাভের জন্য সমুদ্রমন্থনের সময় দেব-দৈত্যের লড়াইয়ে ব্যবহৃত শিবের গলায় জড়িয়ে থাকা সাপ বাসুকী নাগের হদিশ মিলল গুজরাতের কচ্ছে? আইআইটি রুরকির সাম্প্রতিক গবেষণায় পৃথিবীর দীর্ঘতম সাপের জীবাশ্ম উদ্ধারে সেই রহস্য আরও জোরাল হয়েছে। ১১ থেকে ১৫ মিটার লম্বা পূর্ণ বয়সি সাপের জীবাশ্মটি আনুমানিক ৪ কোটি ৭০ লক্ষ বছর আগের। এই দৈত্যাকৃতি সাপ টি রেক্স ডায়নোসর ট্রায়ানোসরাসের থেকেও বড় বলে বিজ্ঞানীদের মত।
এই সাপ লম্বায় প্রায় ৪৯ ফুট। বিজ্ঞানীদের মতে, অ্যানাকোন্ডাও এই সাপের কাছে ছোট। বাসুকী নাগের এই জীবাশ্মের হদিশ মিলেছে কচ্ছের পানান্ধারো লিগনাইট খনিতে। বাসুকী নাগের নাম অনুসারে এই জীবাশ্মের নামও রাখা হয়েছে বাসুকী ইন্ডিকাস। খনিতে সযত্নে সুরক্ষিত সাপের মোট ২৭টি মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধি মিলেছে। একে সাপের স্পাইনাল কলাম বলা হয়। কয়েকটি এখনও জোড়া অবস্থায় জীবাশ্ম মিলেছে।
এই জীবাশ্মের দৈর্ঘ্য থেকে অনুমান টাইটানোবোয়া প্রজাতির সাপের সঙ্গেই এর তুলনা চলে। পৃথিবীতে এই প্রজাতির সাপই দীর্ঘতম বলে এখনও বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। দৈর্ঘ্যের কারণে এই সাপের নড়াচড়া ক্ষমতা খুবই শ্লথ ছিল বলে মনে করেন গবেষকরা।
সাপের এই নতুন প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে ভি ইন্ডিকাস বা বাসুকী ইন্ডিকাস। পুরাণে এই বাসুকী নাগের উল্লেখ রয়েছে। গবেষকদের মতে, এই প্রজাতির সাপ প্রথমে ভারতেই ছিল। আনুমানিক ৫৬ থেকে ৩৪ মিলিয়ন বছর আগে সেখান থেকে দক্ষিণ ইউরোপ হয়ে আফ্রিকায় পৌঁছায়। যে অস্থিসন্ধিগুলি পাওয়া গিয়েছে তা লম্বায় ৩৮ থেকে ৬২ মিমি। এবং চওড়ায় ৬২ থেকে ১১১ মিমি।