শেষ আপডেট: 20th June 2024 10:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরুচি জেলায় বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যু বাড়ছে। বুধবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ২৯। কাল্লাকুরুচির জেলাশাসক জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। প্রশাসনের আশঙ্কা মৃত্যু বাড়বে। এক বছর আগেই রাজ্যের চেঙ্গালপাট্টু জেলায় বিষমদ পান করে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
তামিলনাড়ু পুলিশ জানিয়েছে, জেলার করুণাপুরম কলোনীর সরকারি হাসপাতালে ৫০ জনের চিকিৎসা চলছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন একটু আগে এক্স হ্যান্ডেলে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর কড়া হুঁশিয়ারি, যে অফিসারেরা এই মৃত্যু আটকাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থাৎ বিষমদ বিক্রি আটকাতে ব্যর্থ আবগারি দফতর এবং পুলিশকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তামিলনাড়ুকে সরকার স্বীকৃত মদের দোকানের অভাব নেই। দেশের মধ্যে নাগরিক ও মদের দোকানের অনুপাত দক্ষিণের ওই রাজ্যেই বেশি। বিশেষ করে রাজ্যের উপকূল এলাকায় চায়ের থেকে মদের দোকান বেশি। মজা করে বলা হয়ে থাকে, লোকে চা খেতে বেরিয়ে মদ গিলে বাড়ি ফেরে।
এমন রাজ্যেও বিষমদে মৃত্যুর বিরাম নেই। পুলিশ জানিয়েছে, কাল্লাকুরচির ঘটনায় স্থানীয় পদ্ধতিতে তৈরি মদ পান করে শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিক্রি বাড়াতে মদের সঙ্গে নানা ধরনের নেশা জাতীয় ট্যাবলেট মেশানো হয়। সেখানেও একই কারণে এই মৃত্যু মিছিল কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার হেফাজত থেকে দুশো লিটার দিশি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী স্টালিন তাঁর দুই মন্ত্রী অসুস্থদের চিকিৎসার তদারকি করতে পাঠিয়েছেন। এরই মধ্যে রাজনীতি চড়েছে রাজ্যপাল এন রবির মন্তব্য ঘিরে। রাজভবনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিষ মদে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে খবর আসে। দুর্ভাগ্যের হল, এই অখাদ্য পান বন্ধ করতে কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই।