শেষ আপডেট: 19th August 2024 16:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিন তালাক দেশের বৈবাহিক সমাজ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মারাত্মক। মুসলিম মহিলাদের জীবন অতিষ্ঠ ও দুর্দশাগ্রস্ত করে তোলে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তিন তালাকের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এক হলফনামায় এই দাবি জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে একটি আইনে কেন্দ্র তিন তালাককে নিষিদ্ধ করে।
হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে, এই আইন বিবাহিত মুসলিম মহিলাদের প্রতি সংবিধান বর্ণিত বৈষম্য দূর এবং সমমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গিতে করা হয়েছে। তাঁদের প্রতি মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং পক্ষপাতমূলক একপেশে আচরণ ঠেকানোই এই আইনের লক্ষ্য। যাতে সমাজে মুসলিম মহিলারাও নারী ক্ষমতায়নে অংশীদার হতে পারেন।
২০১৭ সালে মুসলিম সমাজের মধ্যে প্রচলিত তিন তালাক ব্যবস্থাকে শীর্ষ আদালত সরিয়ে রেখেছিল একটি মামলার ক্ষেত্রে। সে বিষয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, তারপরেও সেই সম্প্রদায়ের ভিতরে বিচ্ছেদের সংখ্যা কমানো যায়নি। তিন তালাকের শিকার মহিলাদের পুলিশের কাছে যাওয়া ছাড়া কোনও রাস্তা খোলা থাকে না। এবং পুলিশও এক্ষেত্রে অসহায়। তারা স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারত না। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি কঠোর আইন জরুরি ছিল বলে মনে করে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত, তিন তালাক নিষিদ্ধ হওয়ার সাড়ে পাঁচ বছর পরও সুপ্রিম কোর্টে এ সম্পর্কে বিভিন্ন জনস্বার্থ আবেদন জমা পড়ে। তিন তালাক বিরোধী আইনে তালাক দেওয়া স্বামীর তিন বছরের জেলের বিধান রয়েছে। আবেদনে মুসলিম ব্যক্তি ও সংগঠনগুলির বক্তব্য, এই আইন অসাংবিধানিক। কারণ সুপ্রিম কোর্ট যাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত স্বামীকে অপরাধী গণ্য করার অর্থই নেই।
এরই পালটা হিসেব কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোচ্চ আদালতে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের ওই ঘোষণার পরেও মুসলিম সমাজে এমন কিছু পরিবর্তন চোখে পড়েনি। তিন তালাকের ঘটনাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি। তাই কঠোর আইন প্রণয়ন জরুরি ছিল।