শেষ আপডেট: 1st December 2022 14:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে (5 Months Pregnant Wife) 'তিন তালাক' (Triple Talaq) দিয়ে বিচ্ছেদের অভিযোগে আটক করা হল স্বামী, ভাসুর ও শাশুড়িকে। মহারাষ্ট্রে ভিওয়ানডি জেলার শান্তিনগর থানা এলাকার এই ঘটনায় নিজেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ২২ বছরের বধূটি।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী থানায় এসে জানান, ২০১৮ সালে কামরুদ্দিন ফকরুদ্দিন আনসারির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত তাঁর উপর। তাঁর স্বামী কামরুদ্দিনও গাড়ি চেয়ে প্রায়ই ঝামেলা করত তাঁর সঙ্গে। আকছার চলত মারধর।
অভিযোগকারিণীর দাবি, ২৬ অক্টোবর এরকমই ঝগড়াঝাঁটি, মারধর চলছিল বাড়িতে। হঠাতই তাঁকে 'তালাক তালাক তালাক' বলে ডিভোর্স দিয়ে দেয় কামরুদ্দিন। স্ত্রীর সঙ্গে আর কোনও কথাও বলেনি সে। আড়াই বছরের মেয়ে-সুদ্ধ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেয় ২৫ বছরের কামরুদ্দিন। বাপের বাড়ি চলে যান তরুণী বধূ।
পুলিশ জানিয়েছে, এর পরে ওই তরুণী বহুবার চেষ্টা করেও শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে পারেননি। তার পরেই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান তিনি।
অভিযোগের ভিত্তিতে কামরুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় একটি মামলা রুজু করে শান্তিনগর থানার পুলিশ। তার দাদা, ৩৫ বছরের সিরাজুদ্দিনের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়। নাম জড়ায় ৬০ বছরের মা আবুনিশা আনসারিরও। মুসলিম মহিলা সুরক্ষা আইনেও মামলা রুজু হয় তিন জনের নামেই। তাদের আটক করা হয়েছে।
বাংলা-সহ চার রাজ্যে নাবালিকাকে বারবার ধর্ষণ! ধর্ষিতার ডায়েরিতে রাজনৈতিক নেতার নাম