শেষ আপডেট: 31st October 2023 21:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিজের পরিচর্যার জন্য পার্লারে গিয়ে ভুরু প্লাক করান এক তরুণী। এরপর বেশ খুশি মনেই স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে যান তিনি। কিন্তু স্ত্রীর ভুরু প্লাক করানো যে মোটেই পছন্দ হয়নি স্বামীর। বেজায় রেগে গিয়ে স্ত্রীকে তালাকই দিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। স্বামীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এক মুসলিম গৃহবধূ।
কানপুরের বাসিন্দা গুলসাইবার স্বামী সেলিম থাকেন সৌদি আরবে। সেখান থেকেই সম্প্রতি তাঁকে ভিডিও কল করেন সেলিম। ভিডিও কলে দেখা মাত্রই স্ত্রীকে খানিকটা অন্যরকম লাগে স্বামীর। যার কারণ জিজ্ঞেস করতেই তরুণী জানান যে তিনি পার্লারে গিয়ে ভুরু প্লাক করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে রেগে আগুন হয়ে যান সেলিম। এরপর ভিডিও কলে তিন তালাক বলে কেটে দেন ফোন। এমনই অভিযোগ করেছেন তরুণী। তবে শুধু স্বামী নয়, পুলিশের কাছে শাশুড়ি সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে গুলসাইবা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে গুলসাইবার সঙ্গে সেলিমের বিয়ে হয়। ওই বছরের আগস্ট মাসেই চাকরি করতে সৌদি আরব চলে যান সেলিম। অভিযোগ, এরপর থেকেই পণ চেয়ে গুলসাইবাকে শ্বশুরবাড়ির তরফে চাপ দেওয়া হয়। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, সেলিমের মানসিকতা ‘সেকেলে’। ফ্যাশন নিয়েও তাঁর স্বামী খুব একটা সচেতন নন। আর এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে আগেও ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু ছোটখোটো ঝামলো যে এক্কেবারে বিবাহ বিচ্ছেদের পর্যায়ে চলে যাবে তা ভাবতেও পারেননি গুলসাইবা।
গত ৪ অক্টোবর সেলিম ভিডিও কল করেন গুলসাইবাকে। আর তখনই তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী ভুরু প্লাক করিয়েছেন। গুলসাইবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, মেজাজ হারিয়ে সেসময় তাঁর স্বামী তাঁকে বিয়ে থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেন। পর পর তিনবার তালাক উচ্চারণ করে ফোন কেটে দেন সেলিম। পরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি বলে অভিযোগ গুলসাইবার। সমগ্র ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়ে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ।