শেষ আপডেট: 25th June 2024 20:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সংসদে প্রণব মুখোপাধ্যায় বা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো রক্ষণশীল নেতারা থাকলে এ সব দেখে কী প্রতিক্রিয়া জানাতেন কে জানে! মঙ্গলবার লোকসভায় নতুন সাংসদদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পর্ব যেন রাজনৈতিক সভা মঞ্চে পরিণত হল।
এর শুরুটা এদিন সকালে করেছিলেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। শপথ পাঠের পর তিনি জয় ভীম, জয় মিম, জয় প্যালেস্তাইন স্লোগান তোলেন। পরে ডান হাতে সংবিধান নিয়ে শপথ পাঠ করেন রাহুল গান্ধী। তার পর জয় হিন্দ, জয় সংবিধান স্লোগান তুলে নেমে আসেন রাহুল। আর তাঁদের সবাইকে ছাপিয়ে যান শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথাগত শপথ বাক্য পাঠের পর চণ্ডী থেকে শ্লোক বলতে শুরু করেন কল্যাণ। নারায়ণী নমস্তুতে বলে সেই মন্ত্র পাঠের পর মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ, জয় বাংলা, জয় কালী, জয় জগন্নাথ ধ্বনি তুলতেও দ্বিধা করেননি কল্যাণ। প্রোটেম স্পিকার হিসাবে কল্যাণদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন কটকের সাংসদ ভ্রাত্রুহরি মহতাব। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁকে সম্বোধন করতে গিয়ে কল্যাণ জয় জগন্নাথ স্লোগান তোলেন।
কল্যাণের আগে এদিন শপথ নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বাপি হালদার, কাকলী ঘোষদস্তিদার, সৌগত রায় প্রমুখ। পরে রাজ্যের বাকি সাংসদরাও শপথ পাঠ করেন। তাঁদের সবার মুখে ছিল মমতা ও অভিষেকের নামে জয়ধ্বনি। উল্লেখযোগ্য বলতে জয় যাদবপুর স্লোগান তুলেছেন নব নির্বাচিত সাংসদ সায়নী ঘোষ। আবার জয় জঙ্গলমহল স্লোগান তুলেছেন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী।
শুধু তা নয়, শপথ পাঠের আগে অরূপ আবার দাবি করেছেন, নরেন্দ্র মোদী বারাণসীতে যে ভোট পেয়েছেন জঙ্গলমহলে তাঁর বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারেও আবার কল্যাণকেই সাক্ষী মেনেছেন অরূপ।
বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বিধায়ক ছিলেন অরূপ। প্রথম বার লোকসভা ভোটে জিতেছেন। তাঁর এই শপথ গ্রহণ দেখানোর জন্য বাঁকুড়া থেকে একশ জন কর্মীকে বিমানে করে দিল্লি নিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে সংসদের ভিজিটরস গ্যালারিতে এখন দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই কারণে তাঁর সমর্থকদের শেষ পর্যন্ত আর সংসদ ভবনে ঢোকাতে পারেননি অরূপ। তাঁরা দিল্লি দর্শন করে মঙ্গলবারই অন্ডালের বিমান ধরবেন।