শেষ আপডেট: 1st July 2024 13:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাম শেখ আবদুল রশিদ। ইঞ্জিনিয়ার রশিদ নামেই তিনি পরিচিত বেশি। এবার লোকসভা ভোটে কাশ্মীরের বারামুলা আসন থেকে জিতেছেন রশিদ। ছিলেন নির্দল প্রার্থী। তাতে কী! বলা চলে ইন্দ্রপতন ঘটিয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহ-সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে দু লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন রশিদ।
যদিও বারামুলায় গিয়ে প্রচার করার সুযোগ পাননি। কারণ, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে অর্থ সাহায্যে দেওয়ার একটি মামলায় তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে ২০১৭ সাল থেকে বন্দি। তাঁকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
জেল থেকেই বারামুলা আসনে নির্দল প্রার্থী হন মাঝবয়সি রশিদ। তাঁর অভাবনীয় জয়ে চমকে গিয়েছে রাজনৈতিক মহল। ন্যাশনাল কনফারেন্সের দু-নম্বর নেতাকে হারালেও রশিদের জয় চিন্তায় ফেলেছে বিজেপি এবং প্রশাসনকেও।
জেলে আটক রশিদ যাতে সংসদ হিসাবে শপথ নিতে পারেন, সেজন্য আদালতে মামলা করেছিলেন রশিদ। আদালত সোমবারের মধ্যে জবাব তলব করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’র। সোমবার সকালে ওই সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, রশিদের শপথ গ্রহণে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে তারা কিছু শর্ত জুড়ে দিতে চায়। আদালত শর্তগুলি যুক্তিগ্রাহ্য মনে করলে সেই মতো চূড়ান্ত নির্দেশ জারি করবে। আগামীকাল রশিদ লোকসভায় শপথ নেবেন।
রশিদের জয়ে শাসক বিজেপি ও প্রশাসনের চিন্তার কারণ, জম্মু-কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা ভোট। সুপ্রিম কোর্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট গ্রহণ শেষ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে। রশিদের জয়ে আভাস পাওয়া গিয়েছে, মূল দলগুলির পাশাপাশি সেখানে সমান্তরালভাবে সক্রিয় ভিন্ন মতাবলম্বীরা, বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি বেশ শক্তিশালী। বারামুলাকে বলা হত, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ঘাঁটি। সেখানে ওমর আবদুল্লার মতো নেতার হেরে যাওয়া অনেকের কাছেই বিস্ময়ের। যদিও সেখানে আর এক শক্তিশালী দল মেহবুবা মুফতির পিডিপিও প্রার্থী দিয়েছিল। প্রধান দুই দলের ভোট কাটাকাটির সুবিধা পেয়ে থাকতে পারেন রশিদ।