শেষ আপডেট: 4 March 2024 16:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম: তৃণমূলের কর্মিসভায় রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের। দলের যুগ্ম আহ্বায়কের নাম ঘোষণা হতেই, সভার মধ্যেই কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বীরভূমের মুরারইয়ে এমনই ঘটনা ঘটেছে। লোকসভা ভোটের আগে শাসকদলের অন্দরে অসন্তোষ প্রকাশ্য চলে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
রবিবার দুপুরে বীরভূমের মুরারই পশুহাটে জনগর্জন সভা উপলক্ষে একটি কর্মিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বস্ত্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা।
ওই সভায় মুরারই -১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম অঞ্চল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে কাজি আশরাফুল ইসলাম ওরফে নবাবের নাম ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা করেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সম্পাদক আলি রেজা খান। তারপরেই তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিক্ষোভের কারণে সভাস্থলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। দলীয় কর্মী ও সমর্থকের শান্ত করতে মাইক হাতে আসরে নামেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত সভাস্থল ছেড়ে চলে যান বিক্ষোভকারীরা। যদিও কর্মী ও সমর্থদের বিক্ষোভের কথা অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তাঁর দাবি, নির্বাচনে জয় নিশ্চিত, সেই কারণেই কর্মী ও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরারইয়ে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে শাসকদলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব চলছে। এদিন যেসব কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা সকলেই ওই নবাবের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী।