অনেকেই সরিয়ে নিচ্ছেন দোকান। নিজস্ব চিত্র
শেষ আপডেট: 31st July 2024 13:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: হকার উচ্ছেদ নিয়ে ভিন্ন সুর বিধায়ক ও পুরসভা। নোটিস পাওয়ার পর চুঁচুড়ায় নিজেরাই দোকান সরিয়ে নিচ্ছেন হকাররা। তবে বিধায়ক বলছেন পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হয় না।
মাসখানেক আগে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পরেই সক্রিয় হয় পুরসভাগুলো। হুগলি জেলার একাধিক পুরসভায় দখলমুক্ত করার অভিযান চলেছে। জেলা সদর চুঁচুড়ার পাশেই রয়েছে চন্দননগর কর্পোরেশন। সেখানেও সরকারি জমি দখল মুক্ত করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। চুঁচুড়া পুরসভার প্রশাসনিক বৈঠকের পর জানানো হয় ৩০ জুলাই উচ্ছেদ অভিযান চলবে। শহরের হকারদের সেই মর্মে নোটিসও দেয় পুরসভা।
মঙ্গলবার কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।
এরপর রাতে নেতাজি সুভাষ রোডের হকারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিনি। বিধায়ক বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেননি হকার উচ্ছেদ করতে। তিনি বলেছেন, সার্ভে করতে, বেটার এস্টাবলিশমেন্টের প্ল্যানিং করতে। সার্ভে করা মানে, হকারদের ডেটা সংগ্রহ করা। প্ল্যানিং করা মানে বিকল্প ভাবা। সেই সার্ভে পুরো হল না, প্ল্যানিং হল না, উচ্ছেদ কেন হবে? এটা তো মুখ্যমন্ত্রী বলেননি। যে বা যারা এটা করছে তারা মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। সরকারি পলিসি আছে, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না। আমরা রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে। আর আমরাই বলব যে উচ্ছেদ করব! এটা হয়? উচ্ছেদ হবে না।"
বিধায়কের বক্তব্য, রাস্তায় বেরিয়ে সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, "আমি পূর্ত দফতরে ইঞ্জিনিয়ারকে বলে দিয়েছি নোটিস দিতে গেলে আমার অনুমতি নিতে হবে। কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না কারণ মুখ্যমন্ত্রী সেটা বলেননি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক। তিনি তুলতে বললে সবার আগে আমি তুলব। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন মানুষের সুবিধা করে দাও। হকাররা কি মানুষের বাইরে? এত লোক যাবে কোথায়? চাকরি নেই বাকরি নেই।"
গতকাল হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে চুঁচুড়া পুরসভায় বিক্ষোভ করে বিজেপি। আর পুরসভার নোটিস পাওয়ার পরই বুধবার ইমামবাড়া হাসপাতালের সামনের ফুটপাতের হকাররা তাদের দোকান ভাঙার কাজ শুরু করেন। ৫০-৬০ বছর ধরে হকাররা এখানে ব্যবসা করছেন। মূলত হাসপাতালের রোগীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করেন তাঁরা। দু একটি চায়ের দোকানও আছে। পুরসভা ভেঙে দেওয়ার আগেই সেই সব দোকান তাঁরা সরিয়ে নিচ্ছেন। হকাররা জানান,ফুটপাথে তিন ফুট পিছিয়ে গুমটি দোকান করবেন তাঁরা।