দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: বঙ্গধ্বনি যাত্রা ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটল পূর্ব বর্ধমানের গলসীতে। সোমবার গলসীর বিধায়ক অলোক মাঝিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। গলসী ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূল বিধায়ককে ধাক্কাধাক্কি থেকে গালিগালাজ, চুলের মুঠি ধরে টানাটানি-- কিছুই বাদ যায়নি।
গতকাল সকাল দশটার সময় বঙ্গধ্বনি যাত্রার কর্মসূচি ছিল গলসীর মানকর পঞ্চায়েতের মারো গ্রামে। এই অনুষ্ঠানে দুপুর নাগাদ পৌঁছনোর কথা ছিল জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়ার। কয়েকদিন আগে দলীয় প্রধান, উপপ্রধান ছড়াই বঙ্গধ্বনি যাত্রার সূচনা করেছিলেন বিধায়ক। তাই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এদিন বিধায়ক অনুষ্ঠান শুরুর নিদিষ্ট সময়ের অনেক আগেই বঙ্গধ্বনি যাত্রার শুরু করে দেন বলে অভিযোগ।এতেই গোল বাঁধে। স্থানীয় এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলেন, "বিধায়ক তাঁর অনুগামীদের কয়েকজনকে নিয়ে বঙ্গধ্বনি যাত্রা শুরু করে দেন। যারা বিধায়কের সঙ্গে বঙ্গধ্বনি যাত্রার অংশ নিয়েছিল তারা কয়েকদিন আগেও বিজেপি করছিল। আর এখন তারাই বিধায়কের কাছের লোক। বাদ পড়ছে যারা দলের আসল কর্মী সমর্থক।"
মারো গ্রামে বঙ্গধ্বনি অনুষ্ঠানের সূচনা করে বিধায়ক ধানের মিটিং করতে বিডিও অফিসে চলে যান। এদিকে বিধায়কের বঙ্গধ্বনি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বুদবুদ বিডিও অফিসের কাছে জড়ো হয় বেশকয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক। কিন্তু তারা পৌঁছনোর অনেক আগেই মারো গ্রামে অনুষ্ঠান হয়ে গেছে এই খবর পেয়ে উপস্থিত দলীয় কর্মী সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। দলীয় কর্মীদের ছাড়া দলীয় অনুষ্ঠান হয়ে গেছে এই খবরে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
বিধায়ক অনুষ্ঠান শেষ করে বিডিও অফিসের কাছে উপস্থিত হতেই সেখানে তাঁকে ঘিরে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কর্মীরা। চুলের মুঠি পর্যন্ত ধরে কেউ কেউ । চলে বিধায়ককে ঘিরে ধরে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কি।
ঘটনার খবর পেয়ে বুদবুদ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।মারমুখী দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ বিধায়ককে বিডিও অফিসে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়।
বিধায়ক এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তিনি গলসী ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ ছিল। কিছু বলতে অস্বীকার করেন জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়াও।