শেষ আপডেট: 4th May 2020 08:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নদিয়া জেলার তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নতুন ঘটনা নয়। করোনা মহামারীতেও শাসকদলের বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যানের কাজিয়া চরমে পৌঁছল। এপিসেন্টার সেই শান্তিপুর। শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য গত ২৯ এপ্রিল বৈঠক করেন তাঁর বিধানসভা এলাকার রেশন ডিলারদের সঙ্গে। তারপর একটি ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, "আমরা মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে অনেকে ডিজিটাল রেশন কার্ড থাকায় রেশন পাচ্ছেন না। আমি রেশন ডিলারদের থেকে তালিকা চাই। ওঁরা আমাকে তালিকা দিয়ে জানান প্রায় ১৪ হাজার মানুষ নানান কারণে ডিজিটাল রেশন কার্ড করতে পারেননি।" রেশন ডিলারদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য 'শান্তিপুরের গর্ব মমতা' নামের একটি ফেসবুক পেজে ঘোষণা করে দেন, পুরনো কার্ড থাকা সমস্ত মানুষ রেশন পাবেন। তাঁরা যেন ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শুধু ফেসবুকে আটকে থাকেনি বিষয়টি। রবিবার একটি টোটোতে মাইক লাগিয়ে প্রচার গাড়ি বের করেন অরিন্দম। কিন্তু সেই গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। কেন আটকানো হল? পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু না বললেও, শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা দলের মধ্যে অরিন্দমের বিরোধী হিসেবে পরিচিত অজয় দে স্পষ্ট বলেন, "পুরনো লালকার্ডে রেশন দেওয়ার কোনও সরকারি নির্দেশ নেই। আগে আরকেএসওয়াই-১ ছিল গত মাসে আরকেএসওয়াই-২ কার্ডে রেশন দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।" তাঁর কথায় মানুষের মধ্যে যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় তার জন্যই প্রচারগাড়ি আটকে দিয়েছে প্রশাসন। শান্তিপুরের রেশন ডিলার পরিমল কুণ্ডু বলেন, "পুরনো কার্ডে রেশন দেওয়ার কোনও নির্দেশ নেই। বিধায়ক আমার থেকে তালিকা চেয়েছিলেন, আমি সেটা দিয়েছিলাম। আমরা কখনওই বলিনি পুরনো কার্ডে রেশন দেওয়া হবে।" তাহলে বিধায়ক এমন ঘোষণা করলেন কী ভাবে? অরিন্দমবাবুকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে। শান্তিপুরের রেশন কোন্দল নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তাঁকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। তাঁর প্রতিক্রিয়া পেলেও আপডেট করা হবে। এ ব্যাপারে নদিয়ার এক বিজেপি নেতা বলেন, "মুখে সবাইকে রেশন দেওয়ার কথা বললেও সবাই যে রেশন পাচ্ছে না এই ঘটনা তার প্রমাণ। মানুষ রেশন পাচ্ছে না আর তৃণমূলের নেতারা দলাদলি করছেন। এর থেকে দুর্ভাগ্যের আর কী হতে পারে!"