শেষ আপডেট: 11th June 2024 16:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: শ্রীরামপুর কলেজে ভোট গণনা চলছে তখন। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে দফায় দফায় বাড়ছে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটের ব্যবধান। ইভিএম খোলার পর থেকেই অবশ্য চলছিল সেই ট্রেন্ড। প্রথম থেকেই দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কবীরশংকর বোস ও সিপিআইএম এর দীপ্সিতা ধরের থেকে এগিয়ে যেতে থাকেন। দশ বারো রাউন্ড গণনা শেষে দেখা যায় ব্যবধান প্রায় লক্ষাধিক ভোট। কার্যত পরাজয় স্বীকার করে নেন দীপ্সিতা।
তারপরেই ভোটগণনা কেন্দ্রের সামনে অন্য ছবি। দীপ্সিতাকে দেখে এগিয়ে যেতে দেখা যায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। না, কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল না। তাঁরা দিদির পাশে দীপ্সিতাকে দেখতে চেয়ে আব্দার জানাতে গিয়েছিলেন। তাঁদের বলতে শোনা যায়, "আপনার বক্তৃতা ভালো লাগে। আপনার মতো নেত্রী চাই। দিদিকে দিদির পাশে দেখতে চাই। আপনার মতো শিক্ষিত রুচিশীল মানুষকে চাই।"
তৃণমূল কর্মীদের এহেন আবদারে স্পষ্টতই লজ্জা পেয়ে যান দীপ্সিতা। বারবার নমস্কার করতে থাকেন। জানান, তাঁর পরিবারের বাম ঐতিহ্যের কথা। প্রচার পর্বে বামেদের তরুণ মুখ দীপ্সিতার সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাকযুদ্ধ একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছে। দীপ্সিতা তিনবারের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'মিস্টার ইন্ডিয়া' বলে কটাক্ষ করেছিলেন। পাল্টা দীপ্সিতাকে 'মিস ইউনিভার্স' বলেন কল্যাণ।
আজ গণনা কেন্দ্রে পরাজয় নিশ্চিত হতেই সাংবাদিকদের দীপ্সিতা বলেন,"দুর্নীতি ইস্যুতে ভোট হয়নি। বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষ তৃণমূলকে বেছে নিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিরোধী আমরা নয়। তবে চাকরি বিক্রির বিরুদ্ধে আমরা আবার মানুষের কাছে যাব।" তৃণমূল কর্মীরা তখনও তাঁকে ঘিরে রয়েছেন। তরুণ বামনেত্রী বলছেন, লাল ঝান্ডার রাজনীতিই তাঁর রক্তে। সেই পথ থেকে সরে যাওয়ার প্রশ্ন নেই।