তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 25th May 2024 13:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তমলুক। ভোটপর্বের শুরুতেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই এজেন্টকে অপহরণ করার দাবি করেছিলেন দলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। বেলা গড়াতে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুললেন তিনি।
দেবাংশুর অভিযোগ, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া অঞ্চলের বুথে অবাধ ছাপ্পা দিচ্ছে বিজেপি! গঙ্গা বাসুলি প্রাইমারি স্কুলের ২৭৯ নম্বর বুথের ঘটনা। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, "শুভেন্দু বাবু, লজ্জা করুন একটু.."। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভিভি প্যাট খারাপ হয়েছিল। সেই সময়ের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।
যদিও দেবাংশুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে এই ভিডিওর আদতেও কোন সত্যতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। যেহেতু চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম থেকেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছে কমিশন, তাই ওই এলাকার প্রত্যেকটি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের সিইও আরিজ আফতাব জানান, ‘এটা ভুল খবর। এখানে ভিভিপ্যাট চেঞ্জ করতে হয়েছিল। কোনো ছাপ্পা হয়নি।"
অন্যদিকে, শনিবার ভোট শুরু হওয়ার কিছু আগেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সাতসকালেই তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। হলদিয়ার এক বুথের বাইরে তাঁর উদ্দেশে 'চোর' স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি 'বিজেপি হটাও' বলেও স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। বেলা বাড়ার পর আরও দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রাক্তন বিচারপতি। প্রথম দিকে সংযত থাকলেও পরে বুথে দাঁড়িয়ে ‘হাড়গোড় ভাঙার’ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মেজাজ হারিয়ে বলেন, ‘‘বিক্ষোভ দেখালে হাড়গোড় ভাঙা হবে।’’
বুথ দখল করে ছাপ্পা দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ পেয়ে তিনি হলদিয়ার ওই বুথে গেছিলেন বলে দাবি করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁর গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। একাধিকবার তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে 'গো-ব্যাক' স্লোগান তোলা হয়। হলদিয়ার বুথে বিক্ষোভের মুখে পড়ার আগেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নাম না নিয়ে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
সকাল থেকে রাজ্যের ৮টি কেন্দ্রের মধ্যে তমলুক থেকেই সবথেকে বেশি অশান্তির খবর আসছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রেই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছিল। পরে অবশ্য সকাল ১১ টার হিসাবে ভোটদানের হারে এগিয়ে যায় ঘাটাল। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পুরুলিয়াতেই।