শেষ আপডেট: 14th June 2024 17:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: ঠাকুরনগরের পি আর ঠাকুর সরকারি কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক হয়েছেন। তারপর কিছুদিন কাজ করেছেন হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঠাকুরমা বীণাপাণিদেবীর ঘরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে পরিবারেরই সদস্য সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে অনশনে বসেছিলেন। অতি সম্প্রতি সেই ঘটনাতেই নজরে এসেছিলেন। রাজ্যসভার সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে এবার বাগদা বিধানসভায় প্রার্থী করল তৃণমূল।
একেবারে নতুন এই মুখকে বাজি রেখেই বাগদা বিধানসভার ভোট লড়াইয়ে সামিল হতে তৈরি হচ্ছে দল। এই কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই বিধায়ক পদ থেকে অব্যাহতি নেন। কিন্তু লোকসভা ভোটে হেরে যান তিনি। তাই ফের তাঁকে এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় অপেক্ষা করছিল অন্য চমক।
পরিবারে রয়েছেন একাধিক সাংসদ-বিধায়ক। তবে তাঁর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ ছিল না কোনওদিনই। মায়ের পাশে থাকতেন। মতুয়া আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। এইটুকুই। সেই মধুপর্ণা প্রার্থী হয়ে অবশ্য ঘাবড়ে যাননি এতটুকুও। বছর ২৬ এর তরুণী জানালেন, রাজনীতি তাঁর রক্তে। তাই কোনও সমস্যাই হবে না। জেতার জন্য লড়াইয়ে ঝাঁপাবেন তিনি। মধুপর্ণার কথায়, "দাদুর সময় থেকেই তো দেখে আসছি পরিবারের কেউ না কেউ রাজনীতিতে রয়েছেন। রাজনীতি আমাদের রক্তে। এখন তো পাশে মা আছেন। মাকে দেখি সবসময় মানুষের পাশে থাকতে। আমিও চাই এভাবেই মানুষের পাশে থাকতে। মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ তিনি আমাকে সেই সুযোগ দিলেন।"
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে এবারও জয়ী হয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। বিজেপির সাংসদ তাঁদেরই পরিবারের সদস্য। মতুয়া ভোটের একটা বড় অংশ পেয়ে তিনি জয়ী হয়েছেন। এই ভোট তৃণমূলের দিকে ঘোরার ব্য়াপারে কতটা আশাবাদী তিনি? মধুপর্ণার উত্তর, "মতুয়ারা যাঁকে ভোট দিয়েছেন তিনি তো এই পরিবারেরই লোক। একই রক্ত। তাঁকে যদি ভোট দিতে পারেন তবে আমাকেই বা দেবেন না কেন।"
মধুপর্ণার মা তৃণমূলের সাংসদ মমতাবালা বললেন, "আমার মেয়েকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে আমি খুব খুশি এটা নয়, মুখ্যমন্ত্রী যে আবার মতুয়াদের সম্মান জানালেন তাতে আমি আনন্দিত। দায়িত্ব আমার একার নয়। তৃণমূলের সবাই ঝাঁপাবে। ওর বয়স এখন অনেক কম। কিন্তু কীভাবে মানুষের সেবা করতে হয়, তা ও ছোট থেকে দেখেছে। রাজনীতি ওঁর রক্তে। ও ঠিক পারবে।"