শেষ আপডেট: 13th May 2023 13:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teachers) চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। শিক্ষামহলের অনেকের মতেই একসঙ্গে এতজনের চাকরি বাতিল হয়ে গেলে শিক্ষাব্যবস্থায় বড় প্রভাব পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের একাংশ গেলেন পর্ষদ (Primary Education Board) সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে।
শুক্রবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, 'যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরা এখনও পর্ষদের অধীন। এই অবস্থায় পর্ষদ কখনওই দায় এড়াবে না। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। দরকারে উচ্চতর আদালতে যাব।’ তারপরই শনিবার দেখা গেল চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের একাংশ পৌঁছে যান এপিসি ভবনের সামনে।
শনিবার সকাল থেকেই দেখা যায় পর্ষদ ভবনের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে প্রাথমিক শিক্ষকদের। ভবিষ্যতে তাঁদের চাকরি থাকবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এ বিষয়ে বোর্ডের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা জানাতে চান তাঁরা। এমনকী পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে দেখাও করতে চান বলে দাবি করেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।
যদিও হাইকোর্টের নির্দেশের পরই পর্ষদ সভাপতি বোর্ডের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেছিলেন, এনসিইটির নিয়ম মেনেই সমস্ত নিয়োগ হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ রায় আসার পর আমরা যাবতীয় আইনি পরামর্শ করব।’ এখন দেখার পর্ষদ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় কি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
পার্থ-মানিক প্রাথমিকে চাকরি বিক্রি করেছেন দালালদের মাধ্যমে! রায়ে কী কী লিখলেন বিচারপতি