শেষ আপডেট: 30th April 2024 14:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। সেই রিপোর্টেও ব্যাপক দুর্নীতির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ওই বছর টেটে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলেই রিপোর্টে জানিয়েছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নকল ওএমআর শিট তৈরি করে নিয়োগ তালিকার বাইরের প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের নিয়োগও হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই।
এই রিপোর্টের ভিত্তিতে পর্ষদের কাছে উত্তর চেয়েছিল আদালত। কিন্তু মঙ্গলবার রিপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিতে পারেনি পর্ষদ। ফলত, আদালতের তোপের মুখে পড়েছে তাঁরা। তবে এই মুহূর্তে রিপোর্ট দিতে হচ্ছে না পর্ষদকে। কারণ প্রায় দু মাস পিছিয়ে গেছে ২০১৪ প্রাথমিক টেট মামলার সিঙ্গল বেঞ্চের শুনানি। মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিবিআই রিপোর্টের ভিত্তিতে হলফনামা দিতে হবে সব পক্ষকে।
২০১৪ সালের টেটে কারচুপির অভিযোগে রাহুল চক্রবর্তী সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই খারিজ করে দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশ ছিল, সিবিআই-কে ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজতে হবে, নচেৎ ২০১৪ সালের টেট বাতিল করে দেওয়া হবে।
সিবিআই অবশ্য এই মামলায় আগেই জানিয়েছিল, ৩০৪ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। আদালত এই ক্ষেত্রে স্পষ্ট বলেছিল, তথ্য খুঁজতে প্রয়োজনে আবারও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে সিবিআই তল্লাশি চালাতে পারে। সিবিআই রিপোর্টে যে অনিয়মের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তার ফলে ভবিষ্য়তে আরও অনেকের চাকরি চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।