দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিজের ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন তরুণী। পেশায় বিমানসেবিকা। বুধবার সকালে গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেস-৩ এলাকার একটি গেস্টহাউস থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খুন না আত্মহত্যা সেই নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। যদিও ঘটনাস্থলে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মিষ্টু সরকার। বয়স বছর ২৩। শিলিগুড়ির বাসিন্দা। এক বছর আগে গুরুগ্রামে আসেন। একটি বেসরকারি বিমান সংস্থায় কাজ করতেন মিষ্টু। প্রথমে কয়েকমাস ডিএলএফ ফেস-১-এর একটি বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন। পরে চলে আসেন ডিএলএফ ফেস-৩তে। একটি গেস্টহাউসে ভাড়া থাকতেন তিনি। মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টায় মিষ্টুর ঘরের দরজায় ধাক্কা দিয়ে সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের ডেকে আনেন ওই গেস্টহাউসের নিরাপত্তারক্ষী। দরজা ভেঙে দেখা যায়, সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ওড়নার ফাঁস জড়িয়ে ঝুলছেন তরুণী।

আরও পড়ুন: প্রতিবাদের স্লোগানে থমথমে রাজধানী, অবরুদ্ধ রাস্তাঘাট, তীব্র যানজট, বন্ধ ১৪টি মেট্রো স্টেশন

মিষ্টুর বাবা এইচসি সরকারের অভিযোগ, ওই গেস্টহাউসের মালিক নানাভাবে হেনস্থা করতেন মিষ্টুকে। কুৎসিত ইঙ্গিত, অভব্য আচরণ করা হত তাঁর মেয়ের সঙ্গে। বাড়িতেও নাকি সে কথা জানিয়েছিলেন মিষ্টু। মৃতের বাবার কথায়, “ঘটনার দিন মাঝরাতে আমাকে ফোন করে মিষ্টু। খুব কান্নাকাটি করছিল। বলছিল ওর ফোন নাকি হ্যাক করা হয়েছে। নানাভাবে বিব্রত করছে গেস্টহাউস মালিক। শিলিগুড়ি ফিরতে চাইছিল।“ তরুণীর বাবার দাবি, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। গেস্টহাউসের মালিকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও করেছেন তিনি। ডিএলএফ ফেস-৩ থানার সাব-ইনস্পেকটর রাম নিবাস জানিয়েছেন, তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্তে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ পবন চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যারই ঘটনা। কারণ মৃতদেহে বাইরে থেকে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।