শেষ আপডেট: 22nd July 2024 17:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভয়াবহ অবস্থা সুদানে। একটি প্রথম সারির ব্রিটিশ দৈনিকের দাবি, গৃহযুদ্ধে অবস্থা এতটাই খারাপ যে, প্রায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন অংশে। সেটা এতটাই মারাত্মক আকার নিয়েছে যে, দক্ষিণ সুদানের এক শহরে খিদের জ্বালা মেটাতে তরুণী মহিলাদের অনেকে সেনাবাহিনীর শয্যাসঙ্গী হওয়ার রাস্তা বেছে নিয়েছেন।
প্রায় এক বছর হল সুদানে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের লড়াইতে নেমেছে বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস। গৃহযুদ্ধের শুরু থেকেই ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছিল সুদানে। এবার লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, সুদানের বিভিন্ন শহরে খাবারের চাহিদা নিয়ে এমনই হাহাকার যে, রীতিমত ধর্ষণ না করে খাবারের নাগাল পেতে দিচ্ছে না সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ সুদানের ওমদারমান শহরের এক তরুণী যেমন জানালেন, 'আমার বাবা-মা বয়স্ক, অসুস্থ। আমি তো আমার মেয়েকে খাবার আনতে দিতে পারি না। তাই আমিই গিয়েছিলাম সৈনিকদের কাছে। ওই রাস্তা ছাড়া কোনওভাবেই খাবার পাওয়ার উপায় ছিল না। খাবার একটা কারখানায় স্তুপীকৃত করা ছিল। ওদের চোখ চারিদিকে।' তিনি জানিয়েছেন, একটা মাংসের দোকানের কাছে জনৈক সেনার সঙ্গে মিলিত হতে হয়েছে তাঁকে।
ঠিক কত মানুষ সুদানের গৃহযুদ্ধে মারা গিয়েছেন, সঠিক হিসেব নেই। অনেকে বলেন, সংখ্যাটা প্রায় দেড় লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে। অন্তত এক কোটি মানুষ বাড়ি ছেড়ে প্রাণভয়ে পালিয়েছেন। এবারে একের পর এক যৌন হেনস্থার ঘটনা সামনে আসছে। একাধিক মহিলা জানিয়েছেন, কেবল খাবার, জল বা আশ্রয়ের জন্য সেনা ঘাঁটির কাছাকাছি গেলেই চলছে অত্যাচার। অথচ খাবার এমনভাবে রাখা যে, এছাড়া উপায়ও নেই। কেউ কেউ প্রতিরোধ করেছিলেন। তার ফল হয়েছে মারাত্মক। এমন একজন ২১ বছরের তরুণী জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে কিছু খাবারের আশায় রাজি হলেও পরে আবার তারা যৌন হেনস্থা করতে চাইলে তিনি রুখে দাঁড়ান। তাতে তাঁকে মাটিতে চেপে ধরে দুই পা পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এক মহিলা যেমন জানালেন, রান্নার কিছু উপাদানের জন্যও তাঁকে ধর্ষণ করেছে সৈন্যরা। 'আমি যে কী ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, তা আমিই জানি', জানালেন সেই মহিলা। যোগ করেন, 'আমার শত্রুর সঙ্গেও যেন এমনটা না হয়!'