শেষ আপডেট: 5th September 2024 22:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নির্যাতিতার বাবা-মায়ের বুধবারের বক্তব্য নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বড় প্রশ্ন তুলল শাসকদল তৃণমূল।
এদিন তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের একাধিক ভিডিও দেখিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, "বুধবার রাতে নির্যাতিতার বাবা-মা মিডিয়াকে যেকথাগুলি বলেছেন সেগুলি কি সিবিআইকে জানিয়েছেন? জানিয়ে থাকলে সিবিআই কি সেগুলি নিয়ে তদন্ত করছে?"
আরও একধাপ এগিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, "মারাত্মক অভিযোগ। টাকা কিংবা টাকা নয় দু’রকম ভিডিওয়ই প্রকাশ্যে। যদি সিবিআইকে বলা হয়েই থাকে তা হলে সিবিআই এত দিন সংশ্লিষ্ট অফিসারকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল না কেন?’’
ঘটনার সূত্রপাত, জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বানে প্রতিবাদে সামিল হতে বুধবার আরজি কর হাসপাতালে গেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তাঁরা। নির্যাতিতার বাবা দাবি করেন, মেয়ের দেহ যখন বাড়িতে রয়েছে তখন তাঁকে পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল! যদিও সে টাকা রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণের টাকা কিনা সেটা স্পষ্ট করেননি। তবে তাঁর এই বক্তব্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এরপরই তৃণমূলের তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে দাবি করা হয়েছে, কিছুদিন আগেই 'নির্যাতিতার বাবা-মা' জানিয়েছিলেন পুলিশ কোনও টাকার কথা বলেননি।
যদিও বুধবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, "সে সময় কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছিল। তাঁরা সে সময় আমাদের ওপর চাপও তৈরি করেছিল।" এরপরই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের পরস্পর বিরোধী বয়ানের ভিডিওকে সামনে রেখে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শাসকদল।
বিজেপির অভিযোগ, চাপ দিয়ে জোর করে নির্যাতিতার পরিবারকে দিয়ে সে সময় মিথ্যে বয়ান দেওয়া করানো হয়েছিল। পুরো ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে শোরগোল তৈরি হয়েছে। সিবিআই এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করে কিনা, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে জনমানসে।
তবে একই সঙ্গে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূলের তরফে একথাও বলা হয়েছে, "সন্তান হারিয়ে এমনিতেই নির্যাতিতার বাবা-মা অত্যন্ত শোক সন্তপ্ত। এই পরিস্থিতিতে ওঁদের কথা নিয়ে আমরা আর কিছু বলব না। অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকেও অনুরোধ করব, এমন কিছু না করতে।’’