শেষ আপডেট: 3rd September 2024 20:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের মামলাগুলি অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের পাশাপাশি কলেজে বিস্তর দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই।
দুর্নীতির অভিযোগে সোমবার রাতেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। মঙ্গলবার আদালত সন্দীপ-সহ ধৃত চারজনকে আটদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশও দিয়েছে। তবে বিরোধী দলনেতা মনে করেন, রোজভ্যালির মামলা যেমন ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তেমনই আরজি করের মামলাগুলি অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হোক।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরোধী দলনেতা বলেন, "আরজি করের মামালগুলির বিচার অন্যরাজ্য করতে হবে। প্রয়োজনে বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তদন্তকারী সংস্থার ডাইরেক্টরকেও অনুরোধ করব।"
ঘনিষ্ঠ মহলে শুভেন্দু মনে করছেন, আরজি করের তদন্তের সূত্রে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আরও একাধিক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হতে পারে। তাই কোনওভাবে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলির ওপর অভিযুক্তরা যাতে প্রভাব খাটাতে না পারে তাই মামলাগুলিকে অবিলম্বে অন্যে রাজ্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারি ছাত্রীর দেহ। অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে প্রথমে নির্যাতিতার পরিবারকে বলা হয়েছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের আগেই হাসপাতালল কর্তৃপক্ষ কীভাবে একথা বলেছিলেন, তা নিয়ে নির্যাতিতার মা-বাবা প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এমনকী তাড়াহুড়ো করে শ্মশানে দেহ পোড়ানোর অভিযোগও উঠেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সন্দীপ ঘোষের বিরদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল।
এরই মাঝে সামনে আসে আরজি করের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগেরও। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, নির্মাণের জন্য আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ-সহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন।
সেই সূত্রে আরজি কর হাসপাতালের মর্গ থেকে শুরু করে অধ্যক্ষের দফতরে পৌঁছেছিল সিবিআই। একাধিকবার হাসপাতালে এসে অনুসন্ধান চালায় তাঁরা। তারপরই সোমবার সন্দীপ-সহ চারজন গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।