শেষ আপডেট: 3rd September 2024 20:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে সোমবার রাতেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এবার তাঁকে সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, সন্দীপের বিরুদ্ধে সাসপেনশন এনেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলও। মঙ্গলবার সন্ধেয় এই সাসপেনশনের নির্দেশিকা জারি করা হয়। এর আগে সন্দীপকে সাসপেন্ড করে আইএমএ।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় ডাক্তারি ছাত্রীর দেহ। শুরু থেকেই কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। তাতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।
সেই সূত্রেই সামনে আসে আরজি করের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগেরও। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, নির্মাণের জন্য আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ-সহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন।
সেই সূত্রে আরজি কর হাসপাতালের মর্গ থেকে শুরু করে অধ্যক্ষের দফতরে পৌঁছেছিল সিবিআই। একাধিকবার হাসপাতালে এসে অনুসন্ধান চালায় তাঁরা। তারপরই সোমবার সন্দীপ-সহ চারজন গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সন্দীপ ঘোষকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তারপরই সন্ধেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে সন্দীপকে সাসপেন্ডের কথা জানানো হয়।
আরজি করে নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রী খুনের পরই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে অপসারণের দাবি তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতির চাপে গত ১২ অগস্ট অধ্যক্ষর পদ থেকে ইস্তফা দেন সন্দীপ। এমনকী তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানান। যদিও সন্দীপের ওই ইস্তফার ৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসায় রাজ্য। পড়ুয়াদের বিক্ষোভে সেখানে অবশ্য কাজে যোগ দিতে পারেননি তিনি।
উল্টো গোটা ঘটায় আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল রাজ্য। আদালতের নির্দেশে সন্দীপকে ১৫ দিনের ছুটিতে পাঠায় রাজ্য। সিবিআই গ্রেফতার করতেই এবার সাসপেন্ড করা হল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।