শেষ আপডেট: 9th July 2024 12:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার ডাকে সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অন্তত ২ লক্ষ মানুষ। এরপরই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায় উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১২১ জনের। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিলেন। অন্যদিকে পুলিশের বিশেষ টিম এই বিষয়ের তদন্ত করছিল। তারা দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে রিপোর্ট দিয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে জানা গেছিল, ওই অনুষ্ঠানে ৮০,০০০ মানুষের ভিড় হওয়ার অনুমান করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ হয়ে যায়। পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে।
এই বিশেষ তদন্তকারী দল দুর্ঘটনার দিন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে এবং ১৩০ জন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছিল। তারপরই এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা অবশ্য এও জানিয়েছে, অতিরিক্ত ভিড়ই পদপিষ্টের ঘটনার একমাত্র কারণ তা নয়। এর পাশাপাশি আরও একাধিক গাফিলতি হয়েছে তবে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ই মূল কারণ।
দুর্ঘটনার পর থেকেই সেই স্বঘোষিত ধর্মগুরু 'নিখোঁজ'। যদিও ইতিমধ্যে তিনি ভিডিও বার্তা দিয়ে হাথরাসের ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, সমাজবিরোধীরা এই কাজ করেছে তবে তিনি প্রার্থনা করছেন সবাই যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে তিনি সবরকম সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে পাটনা আদালতে একটি মামলা রুজু হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে।
'ভোলে বাবা'র আইনজীবী অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলের অনুষ্ঠানকে বদনাম করতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে! ১০-১২ জন দুষ্কৃতী ভিড়ের মধ্যে বিষাক্ত স্প্রে ছড়িয়ে দিয়েছিল। আর সেই কারণেই ঘটে বিপর্যয়। বিষাক্ত স্প্রের জন্য নিঃশ্বাস নিতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই আবার হাথরাসের ঘটনার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতির নেতৃত্বে এই ঘটনা তদন্ত হোক এই দাবি তুলে মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টেরই এক আইনজীবী এই মামলা রুজু করেছেন। তিনি চান, পাঁচ সদস্যের এক্সপার্ট কমিটি গঠন করে এই পদপিষ্টের ঘটনার তদন্ত হোক।