শেষ আপডেট: 11th July 2024 12:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভোলেবাবার পছন্দ ছিল শুধু কুমারীকন্যা। কুমারীকন্যাদেরই কেবলমাত্র শিষ্যা করতেন নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সুরজ পাল। হাথরাসের সৎসঙ্গে ১২১ জনের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর পর থেকে প্রতিদিন ভোলেবাবাকে নিত্যনতুন রহস্য উন্মোচন হচ্ছে। আজতক চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, ভোলেবাবাকে সর্বক্ষণ ঘিরে থাকত কুমারী মেয়ের দল।
সৎসঙ্গে তাঁর অন্দরমহলে কোনও পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ভোলেবাবা পছন্দ ছিল লাল রং। তাই সৎসঙ্গের আয়োজক কমিটির দায়িত্ব ছিল এই মেয়েদের লাল শাড়ি-ব্লাউজ বা সালোয়ার-কুর্তা দেওয়ার। সেই পোশাক পরেই তাঁরা সৎসঙ্গে যেতেন এবং ভজনের সঙ্গে নাচ করতেন। এরকম বেশ কয়েকজন যুবতীর সঙ্গে কথা বলে এই গোপন রহস্য খুলে গিয়েছে।
মেয়েদের বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের সৎসঙ্গ চলাকালীন লাল পোশাক পরে যেতে হতো এবং সেখানে নাচতে হতো। তাঁদের মুখ থেকেই জানা গিয়েছে, সৎসঙ্গের সময় বাবা সবসময় কালো চশমা পরতেন। দেবতা জ্ঞানে ভক্তি করা ভোলেবাবা সম্পর্কে আরও সব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিতে সেইসব মেয়েরাই লজ্জা পাচ্ছেন।
এক মহিলা জানান, যে কুমারী মেয়েরা তাঁকে ঘিরে থাকতেন, তাঁরা সুরজ পালকে নিজের স্বামী বলে জ্ঞান করতেন এবং সেইভাবেই সহবাস করতেন। এই মেয়েরা তাঁকে এতটাই ভক্তি করতেন যে ভোলেবাবার কথায় সবকিছু করতে পারতেন। সৎসঙ্গে যাওয়া এক মহিলার কথায়, লাল কাপড় পরা মেয়ে দেখলেই ভোলেবাবার মুখে হাসি ছড়িয়ে পড়ত।
সুরজ পালের এক ভক্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাবার আশ্রম ও সংস্থাগুলিতে বিভিন্ন ধরনের মহিলা থাকতেন। তারমধ্যে শুধু অবিবাহিতা মেয়েদেরই তিনি শিষ্য করতেন। আর বিবাহিতা মহিলারা তাঁর দর্শন পেলেও তাঁদের ধারেকাছে ঘেঁষতে দিতেন না স্বঘোষিত এই সাক্ষাৎ নারায়ণ। কুমারী মেয়েদের সৎসঙ্গে লাল চেলি পরে মুখে চড়া মেকআপ করে নাচতে হতো। তবে নাচের পরে তাঁদের পোশাক পরিবর্তনের অনুমতি ছিল।
বাবার আশ্রমের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই মেয়েরাই ভোলেবাবার দৈনন্দিন কাজ ঠিক করতেন। মেয়েরাই বাবার স্নানের জন্য নিম দিয়ে বিশেষ জল তৈরি করত। এছাড়াও স্নানের জলে মেশানো হতো গোলাপের পাপড়ি, সুগন্ধী ইত্যাদি। এমনকী বাবাকে খাইয়ে দিতেন এই কচিকাঁচা শিষ্যারা।