শেষ আপডেট: 30th July 2024 14:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: এবার ঘটনাস্থল হুগলির সিঙ্গুর। রাস্তা তৈরি নিয়ে সমস্য়ার জেরে এক মহিলাকে পথের উপর ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পাড়ায় মারধরের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি রাস্তা তৈরি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এলাকার একটি পরিবারের বাড়ির গা ঘেঁসে প্রায় পাঁচ ফুট চওড়া চারশো ফুট লম্বা একটি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করতে যায় পঞ্চায়েত। তাতে বাধা দেয় ওই পরিবার। বাড়ির গা ঘেঁসে থাকা ড্রেনের উপর দিয়ে রাস্তা করায় আপত্তি জানায় তারা। পঞ্চায়েতের পাল্টা অভিযোগ, তাদের জায়গা দখল করে আছে পরিবারটি।
সোমবার রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করতে গেলে ঝামেলা বাধে। ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন বেরাবেরি পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমা সর্দার-সহ তৃণমূলের সদস্যরা। সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাস্তা তৈরি নিয়ে বচসা চলার সময় আনন্দ মোহন ঘোষকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ভিডিও যেমন ভাইরাল হয়,পাশাপাশি আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক যুবতীকে রাস্তায় ফেলে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে বাঁশ দিয়ে মারা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে একজন বৃদ্ধকেও। যিনি ওই যুবতীর বাবা বলেই জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ।
দুজনকেই শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুটি ভিডিওর কোনওটির সত্যতাই অবশ্য় যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।
ওই পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টা নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। পুলিশ রবিবার মেটাবে বলেছিল। তার আগেই জোর করে পঞ্চায়েত কাজ শুরু করে। তাই নিয়ে বচসার জেরেই রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে মারা হয় পরিবারের এক সদস্যাকে। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এই ঘটনা বলে অভিযোগ উঠতেই ফের সাড়া পড়ে যায়। তবে সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষ জানান, পঞ্চায়েতে কাজে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ওই পরিবারের লোকজন তাঁকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। তবে ওদের বাড়ির সদস্যাকে মারধরের সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানিক দাস বলেন, "রাস্তা তৈরি হলে গ্রামের মানুষের সুবিধা। ওই পরিবারটি সেই কাজে বাধা দিচ্ছিল। শ্রমিকদের কাটারি নিয়ে তাড়া করেছিল। তখন গ্রামের মানুষই সেখানে ভিড় জমায়। তৃণমূলের কোনও নেতা কর্মী বা পঞ্চায়েত সদস্য কোনও মহিলাকে মারধর করেনি।" এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।